সাবেক ছিটে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে দুর্নীতির নালিশ দিলীপের

ভোটের প্রচারে কোচবিহারে এসে সাবেক ছিটমহলের কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দে টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৪৫
Share:

ভোটের প্রচারে কোচবিহারে এসে সাবেক ছিটমহলের কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দে টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

Advertisement

বুধবার দলের কোচবিহার জেলা দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সাবেক ছিটমহলের মানুষদের দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে আন্দোলনের হুমকি দেন তিনি। বলেন, “সাবেক ছিটমহলগুলিতে উন্নয়নের ছিটেফোঁটা হয়নি। ক্যাম্প তৈরিতে যা খরচ দেখানো হচ্ছে তা কোনওভাবেই ঠিক হতে পারে না। টাকা লুঠ হচ্ছে। এটা আমরা মেনে নেব না। দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করা হবে। তদন্তের দাবিও জানানো হবে।”

দিলীপবাবু দাবি করেন, বাংলাদশের ভিতরে থাকা সাবেক ছিটমহলগুলিতে রাস্তা, বিদ্যুৎ-সহ নানা উন্নয়নের কাজ হয়েছে। তা দেখে অনেকেই বাংলাদেশে ফিরে যেতে চাইছেন। তাঁর কথায়, “এটা আমাদের কাছে বড় লজ্জার বিষয়। ছোট একটা দেশ উন্নয়ন করছে। এখানে তা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে। তবুও রাজ্য সরকার কোনও কাজ করতে পারছে না।”

Advertisement

বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে রাজি নয় তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “সাবেক ছিটমহলে উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছে। নির্বাচনের জন্য আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। আর এই কাজ সরকার করছে। এখানে দুর্নীতির প্রসঙ্গ অবান্তর। ভোটের মুখে সুড়সুড়ি ছাড়া তা কিছু নয়।”

পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মনের কাছ থেকে জোর করে সমর্থন আদায় করেছে তৃণমূল। তিনি বলেন, “বংশীবাবু আমাদের দিকেই আসতে চেয়েছিলেন। তাঁর নামে একটি মামলা রয়েছে। সেই ভয় দেখিয়ে জোর করে তাঁকে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গ্রেটারের সবাই আমাদের সঙ্গেই আছেন।” তৃণমূল ওই অভিযোগ হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। বংশীবাবু বলেন, “আমাদের দাবিদাওয়া নিয়ে সদর্থক আলোচনা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে সমর্থন জানানো হয়। কে কি বলছেন জানি না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন