Dilip Ghosh

রাজ্য ভাগ প্রসঙ্গ উঠতে ‘মেজাজ’ হারালেন দিলীপ

দিলীপ এ দিন যে জেলায় ছিলেন, সেই আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলেছেন।

Advertisement

পার্থ চক্রবর্তী

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:২০
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রসঙ্গ ছিল ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ বা জিটিএ-র প্রথম সাধারণ সভায় আলাদা রাজ্যের দাবি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব পাশ। তা নিয়ে রাজ্য ভাগ সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখে কার্যত মেজাজ হারাতে দেখা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়ায়, বৃহস্পতিবার।

Advertisement

আলিপুরদুয়ার জেলার নানা প্রান্তে এ দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন দিলীপ। শুরু করেন মাদারিহাট বিধানসভার বীরপাড়া দিয়ে। সেখানে বিজেপির ১৬ নম্বর মণ্ডলের উদ্যোগে আয়োজিত চা-চক্রে যোগ দেন তিনি। গোর্খাল্যান্ড প্রসঙ্গটি ওঠে বীরপাড়াতেই। দিলীপের কাছে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন ছিল, গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বিজেপির অবস্থান কী? দিলীপ বলেন, “শ্যামাপ্রসাদ (মুখোপাধ্যায়) এই বাংলা গড়েছেন। এই বাংলাকে আমরা সোনার বাংলা করতে চাই।’’

দিলীপ এ দিন যে জেলায় ছিলেন, সেই আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলেছেন। কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা বরাবর পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে সরব। এমনকি, বিধানসভাতেও সে দাবি তুলেছেন তিনি। সে সূত্রেই সংবাদমাধ্যমের তরফে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির কাছে প্রশ্ন করা হয়, তা হলে কি বিজেপি রাজ্য ভাগের পক্ষে, না বিপক্ষে? এতেই দৃশ্যত ‘মেজাজ’ হারিয়ে বসেন দিলীপ। তাঁর জবাব, “সবাই বাংলা বোঝেন। তা-ও ন্যাকামি করেন? আপনারা তৃণমূলের মতো প্রশ্ন করবেন না।” একই সঙ্গে অবশ্য তিনি এটাও বলেন, “যখন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তাদের (তৃণমূলের) সঙ্গে থাকে, তখন তাঁরা দেশপ্রেমী। আর বিজেপির সঙ্গে এলে বিচ্ছিন্নতাবাদী হয়ে যায়। এ সব চালাকির রাজনীতি আমরা দেখেছি।”

Advertisement

পরে, কালচিনির গাড়োপাড়া ও আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের চকোয়াখেতিতে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনায় যোগ দেন দিলীপ। সন্ধ্যায় নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশন চত্বরে আবার একটি চা-চক্রে যোগ দেন। ডুয়ার্সের চালসা চা বাগানে গিয়ে বুধবারই দিলীপ দাবি করেছিলেন, এ রাজ্যের চা শ্রমিকেরা দেশের অন্য শ্রমিকদের তুলনায় খারাপ রয়েছেন। তবে আলিপুরদুয়ারে তাঁকে বলতে শৌনা যায়, “দু’বছর করোনা অতিমারির পরে, এ বছরে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষত, ডুয়ার্স অঞ্চলে চা শিল্প ও পর্যটন সক্রিয় রয়েছে। মানুষের হাতে টাকা-পয়সা আসছে।” চা বাগানে শ্রমিকদের জমির পাট্টা না থাকার প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ বলেন, “রাজ্য সরকার ছাড়পত্র দিলে, কেন্দ্র চা বাগানগুলিতে শ্রমিকদের জন্য বাড়ি বানিয়ে দেবে।”

তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের পাল্টা মন্তব্য, “কেন্দ্রীয় সরকার যদি ওঁর (দিলীপ ঘোষের) এত কথা শোনে, তবে রাজ্যের এত টাকা যে বকেয়া রয়েছে, সেটা আগে উনি কেন্দ্রকে দিতে বলুন।” তাঁর সংযোজন, “কেন্দ্রীয় সরকার চা শিল্পের জন্য কথা দিয়েও সে কথা রাখেনি। রাজ্যের তৃণমূল সরকারই চা শ্রমিকদের জন্য নানা ধরনের কল্যাণমূলক প্যাকেজ রেখেছে। তাই এ রাজ্যের চা শ্রমিকেরা সকলেই ভাল রয়েছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন