দিনবাজার

কাজ কত দূর, প্রশ্ন ব্যবসায়ীদের

পুড়ে যাওয়া অংশে দোকানঘর তৈরির কাজ কতদূর অগ্রসর হল তা জানতে চান জলপাইগুড়ির দিনবাজারের ব্যবসায়ী সমিতি। এই উদ্দেশ্যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের সচিবের সঙ্গে দেখা করার জন্য শুক্রবার চিঠি দিল ওই ব্যবসায়ী সমিতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৬ ০১:৫৫
Share:

পুড়ে যাওয়া অংশে দোকানঘর তৈরির কাজ কতদূর অগ্রসর হল তা জানতে চান জলপাইগুড়ির দিনবাজারের ব্যবসায়ী সমিতি। এই উদ্দেশ্যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের সচিবের সঙ্গে দেখা করার জন্য শুক্রবার চিঠি দিল ওই ব্যবসায়ী সমিতি।

Advertisement

দিনবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দেবু চৌধুরী বলেন, “গত মাসে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জলপাইগুড়ির দিনবাজারের পুড়ে যাওয়া অংশটি দেখতে আসেন। তিনি উন্নয়ন দফতরের সচিব বরুণ রায়কে কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।’’ তার পরে সেই কাজের কী হল তা না জানার জন্য সচিবের সঙ্গে দেখা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত মাসের ১৫ তারিখে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জলপাইগুড়িতে আসেন। তিনি দিনবাজারের পুড়ে যাওয়া অংশটি ঘুরে দেখে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। সচিব বরুণ রায়কে পুরসভার কাছ থেকে জমি হস্তান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও বলেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দশ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের ওপর একটি চুক্তি করে নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন মন্ত্রী।

Advertisement

তারপর চব্বিশ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চুক্তি করার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। পুরসভার কাছ থেকে জমি হস্তান্তরের বিষয়টি নিয়েও ব্যবসায়ীরা অন্ধকারে রয়েছেন। জমি হস্তান্তর বা পুরসভার পক্ষ থেকে কোনও আপত্তি নেই তা স্থির হওয়ার পরই পরিকল্পনা এবং দরপত্র আহ্বানের বিষয়টি থাকছে। সেই বিষয়েও জানতে চান ব্যবসায়ীরা। উন্নয়নমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে দু’বছরের মধ্যে ভবনটি তৈরি করে দেওয়া হবে। সেই কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চান।

২০১৫-র মে মাসের সাত তারিখ রাতে এক বিধ্বং‌সী আগুনে দিনবাজার টিনশেডটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই ঘটনার ফলে ১১৭ জন দোকানদার ক্ষতিগ্রস্ত হন। তারপর বছর গড়িয়ে গেলেও পুরসভার পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন করে দোকানঘর তৈরি করে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। দিনবাজার এবং টিনশেডটি জলপাইগুড়ি পুরসভার নিয়ন্ত্রনাধীন। গত মাসে মন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতিতে ব্যবসায়ীরা আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন