ভিডিয়োকলে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন দিনহাটার সৌভিক চক্রবর্তী। —নিজস্ব চিত্র।
সেমিনারে যোগ দিতে দিন কয়েক আগে কাঠমান্ডু উড়ে গিয়েছিলেন দিনহাটার ছাত্র সৌভিক চক্রবর্তী। তখনও নেপাল শান্ত। কে জানত, দু’দিনেই নেপালের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে। বুঝতে পারেননি সৌভিক ও তাঁর পরিবারও। কিন্তু সেমিনার সেরে আর ভারতে ফিরতে পারছেন না দিনহাটার যুবক। উদ্বিগ্ন পরিবার।
পরিবার সূত্রে খবর, বিধানচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করছেন সৌভিক। কাঠমান্ডুতে এক সেমিনারে যোগ দিতে যান তিনি। ৬ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর— চার দিনের সেমিনার সেরে বাড়ি ফেরার কথা ছিল সৌভিকের। কিন্তু তার মধ্যেই নেপালে শুরু হয় সরকারবিরোধী আন্দোলন। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগ, সরকারের পতন— একে একে ঘটে যায় নানা ঘটনা। ভারত সরকার নেপাল সীমান্ত সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেয়। বিমান পরিষেবাও স্থগিত করে ভারতের বিভিন্ন বিমান সংস্থা। আর তাতেই বিপদে পড়েন সৌভিক।
কী ভাবে বাড়ি ফিরবেন জানেন না দিনহাটার যুবক! ফোনে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তিনি, বর্ণনা দিচ্ছেন নেপালের পরিস্থিতির। কিন্তু ফেরার পথ খুঁজে পাচ্ছেন না সৌভিক। তাঁর মা কাকলি চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘আমরা দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। ছেলে কী ভাবে বাড়ি ফিরবে, তার কোনও উপায় দেখতে পাচ্ছি না। প্রতি দিন ফোনে যোগাযোগ হচ্ছে। বলছে ভাল আছে। তবে চিন্তা তো বাড়ছেই।’’ সরকারের কাছে কাকলির আর্জি, সৌভিকের মতো আর যে সব ভারতীয় নেপালে আটকে রয়েছেন, তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নেপালে আটকে থাকা ভারতীয়েরা ধীরে ধীরে পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত দিয়ে ফিরতে শুরু করেছেন। সকলের চোখেমুখেই আতঙ্কের ছাপ। সকলের পরিচয়পত্র যাচাই করেই ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ফলে সৌভিকের মতো নেপালে আটকে থাকা ভারতীয়েরা দেশের ফেরার আশা দেখছেন।