ডিইএলডি সেন্টার বন্ধই দাড়িভিটে

সূত্রের খবর, ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওপেন স্কুলিং’ (এনাইওএস) পরিচালিত ওই কোর্সের স্টাডি সেন্টার হয়েছিল দাড়িভিট হাইস্কুলেও। প্রাথমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে চাকরিরত শিক্ষকদের জন্য ‘প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং’ (পিটিটি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর: শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:২৭
Share:

—ফাইল চিত্র

দাড়িভিট হাইস্কুলে গন্ডগোলের জেরে বন্ধ হয়ে গেছে ‘ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টরি এডুকেশন’ (ডিইএলডি) স্টাডি সেন্টার। এতে বিপাকে পড়েছেন প্রশিক্ষণরত প্রায় একশো শিক্ষক-শিক্ষিকা। দু’বছরের কোর্স। সামনে ডিসেম্বরে তাদের সেমিস্টারের পরীক্ষা রয়েছে। তা নিয়ে চিন্তিত স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনকেও তাঁরা জানিয়েছেন। ইসলামপুরের মহকুমা শাসক মণীশ মিশ্রের আশ্বাস, ‘‘এই বিষয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক দাড়িভিট হাইস্কুলের ডিইএলডি সেন্টার অন্য স্কুলে নিয়ে যেতে উদ্যোগী।’’ যদিও জেলা স্কুল পরিদর্শক সুজিত মাইতি ফোন ধরেননি।

Advertisement

সূত্রের খবর, ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওপেন স্কুলিং’ (এনাইওএস) পরিচালিত ওই কোর্সের স্টাডি সেন্টার হয়েছিল দাড়িভিট হাইস্কুলেও। প্রাথমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে চাকরিরত শিক্ষকদের জন্য ‘প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং’ (পিটিটি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু যে সব শিক্ষকের ওই প্রশিক্ষণ ছিল না, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের ‘ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টরি এডুকেশন’ (ডিইএলডি) প্রশিক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্কুলে এই প্রশিক্ষণের জন্য স্টাডি সেন্টার চালু হয়। এখন দাড়িভিট স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই কোর্সের পড়ুয়ারা পড়েছেন বিপদে।

দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ কুণ্ডু সাসপেন্ড হয়ে রয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনিল মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আমার কিছু

Advertisement

জানা নেই।’’

গত ২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিট হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। গন্ডগোলের জেরে স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। গত ১১ নভেম্বর প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে স্কুল চালু হলেও ডিইএলডি স্টাডি সেন্টার শুরু হয়নি। ফলে ওই সেন্টারের প্রায় ১০০ জন প্রশিক্ষণরত শিক্ষক পড়েছেন সমস্যায়। প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের অভিযোগ, প্রশাসনের কাছে গেলে কোনও সদুত্তর মিলছে না।

ডিইএলডি প্রশিক্ষণরত প্রাথমিক শিক্ষক আজহার আলমের অভিযোগ, ‘‘সামনে আমাদের সেমেস্টারের পরীক্ষা। এখনও সেন্টার চালু না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’’ অন্য প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের কয়েক জন জানান, বিষয়টি প্রশাসনের পাশাপাশি জেলা স্কুল পরিদর্শককেও জানানো হয়েছে। কিন্ত এখনও কোন বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন