বিক্ষোভ: মানিকচক হাসপাতালে উত্তেজনা। নিজস্ব চিত্র
বর্হিবিভাগে না দেখে রোগীকে টাকার বিনিময়ে নিজের কোয়ার্টারে চিকিৎসা করার অভিযোগ তুলে এক চিকিৎসককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন পরিজন ও স্থানীয়েরা। বুধবার দুপুরের এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মালদহের মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
রোগীদের অভিযোগ, বহির্বিভাগের চিকিৎসার পরিবর্তে চিকিৎসকেরা ব্যক্তিগত চেম্বারেই রোগী দেখেন। এ দিনও সেই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মানিকচকের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়দীপ মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘তদন্তে গাফিলতি প্রমাণিত হলে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’’
এ দিন দুপুরে মানিকচকের বাসিন্দা গৌতম বসাক পেটের যন্ত্রণা নিয়ে তাঁর বৃদ্ধা মাকে নিয়ে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেই সময় বহির্বিভাগে ছিলেন চিকিৎসক অমলকৃষ্ণ পাল। অভিযোগ, তিনি রোগীকে না দেখেই চলে যান নিজের কোয়ার্টারে। সেখানে গিয়ে গৌতমবাবু তাঁর মাকে চিকিৎসা করান। তারপরই ভিজিট বাবদ ওই চিকিৎসক ১০০ টাকা দাবি করতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গৌতমবাবু ও তাঁর পরিবার। বিষয়টি জানাজানি হতেই ভিড় করেন অন্যান্য রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা।
অভিযুক্ত চিকিৎসকের ঘরের সামনে চলে বিক্ষোভ। চিকিৎসকের পরিবারের লোকেদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। তুমুল হইচই বেধে যায় হাসপাতাল জুড়ে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সামনেই চলে বিক্ষোভ। পরে মানিকচক থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘টিকিট কেটে বহির্বিভাগে দাঁড়িয়ে থাকলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক অমলকৃষ্ণ পাল চিকিৎসা না করেই কোয়ার্টারে চলে যান। সেখানে চিকিৎসা করে আবার টাকা চান। এমন ঘটনা শুধু আমার সঙ্গেই ঘটছে না। প্রায়ই বহির্বিভাগে চিকিৎসা না করে প্রাইভেটে চিকিৎসা করছেন চিকিৎসকেরা।’’ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অভিযুক্ত চিকিৎসক।