প্রতীকী ছবি।
আগামী সাত দিনের মধ্যে ‘ভেক্টর বোর্ন’ রোগ প্রতিরোধে জেলাগুলোকে মাইক্রোপ্ল্যান জমা দিতে বললেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। বুধবার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বছর ভেক্টর বোর্ন প্রতিরোধের করতে গিয়ে কী কী ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে সেটাও জানাতে বলা হয়েছে জেলাগুলোকে।
২০১৭ সালে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গির সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নেয়। উত্তরবঙ্গেও ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দেয়। বিশেষ করে শিলিগুড়ির মতো শহরে। কলকাতায় অনেকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। শিলিগুড়িতে অন্তত ১৩ জন মারা যান। রোগ মোকাবিলায় গত বছর তাই শুরু থেকেই জেলাগুলোকে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ক্যালেন্ডার তৈরি করে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা, স্প্রে, ধোঁয়া ছড়ানো, সাফাই, সচেতনতা প্রচারে নামা হয়। পুরসভাগুলোকেও আর্থিক সহায়তা করা হয় আলাদা করে। ডেঙ্গির মতো ভেক্টর বোর্ন রোগ প্রতিরোধে বছরভর কর্মসূচি নেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছরও সেই কাজ করতে এ দিন জেলাগুলোকে দ্রুত মাইক্রোপ্ল্যান করতে বলা হয়েছে। চারটি ভাগে পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। একটি সকলের জন্য সাধারণ মাইক্রোপ্ল্যান।
শহর এলাকার জন্য আলাদা, গ্রামাঞ্চলের জন্য আলাদা মাইক্রোপ্ল্যান। চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য আলাদা মাইক্রোপ্ল্যান করে পাঠাতে হবে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলাশাসকের দফতর দুই তরফেই এই পরিকল্পনা পাঠাতে হবে স্বাস্থ্য দফতরে। সেই মতো পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
এ দিন বিভিন্ন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বলেন রাজ্য স্বাস্থ্য আধিকর্তা, আর্বান হেল্থ মিশন প্রকল্পের আধিকারিক-সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের অনেকেই। এ দিন দার্জিলিং জেলার তরফে জিটিএ এলাকায় রোগ প্রতিরোধের কাজের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার তরফে ইসলামপুরের জন্য একটি ম্যাক অ্যালাইজা পরীক্ষার যন্ত্র চাওয়া হয়েছে।
ডেঙ্গি ছাড়াও বেশ কিছু এলাকায় কালাজ্বর প্রতিরোধের বিষয়টিও পরিকল্পনার মধ্যে থাকবে বলে স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানান। জলপাইগুড়ির পুর এলাকায় ডেঙ্গি প্রতিরোধে কিছু সমস্যার কথা জানানো হয়। বছরের শুরুতে এই কাজ শুরু করতে আরও আগে থেকে পরিকল্পনা নেওয়া দরকার বলে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের অনেকে জানান।