—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ায় শুনানিতে ভোটারদের হয়রানি রুখতে উত্তর দিনাজপুর জেলায় শুনানি কেন্দ্র বাড়াতে চাইছে জেলা নির্বাচন দফতর। ওই দফতরের আশঙ্কা, জেলায় পর্যাপ্ত শুনানি কেন্দ্র চালু না হলে ভোটাররা হয়রানির মুখে পড়তে পারেন। পাশাপাশি, নির্দিষ্ট সময়ে শুনানি শেষ করায় সমস্যা হতে পারে। তাই জেলার প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় আরও দুই থেকে চারটি করে শুনানি কেন্দ্র বাড়ানোর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে জেলা নির্বাচন দফতর। অন্য দিকে, শুনানির আওতায় থাকা ভিন্ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে কর্মরত ভোটারদের জেলায় ফিরিয়ে শুনানিতে হাজির করাতে সব রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করেছে প্রশাসন।
মহকুমাশাসক (রায়গঞ্জ) তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শুনানি চলাকালীন ভোটারদের হয়রানি রুখতে ও নির্দিষ্ট সময়ে শুনানি শেষ করতে জেলা নির্বাচন দফতরের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জেলায় শুনানি কেন্দ্র বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’’ মহকুমাশাসক জানিয়েছেন, শুনানির আওতায় থাকা ভিন্ রাজ্যে কর্মরত জেলার পরিযায়ী শ্রমিকেরা নির্দিষ্ট সময়ে জেলায় ফিরে শুনানিতে হাজির হবেন বলে প্রশাসন আশাবাদী।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলায় এসআইআর-এর শুনানি চলবে। জেলার ন’টি বিধানসভা কেন্দ্রের ‘নো ম্যাপিং’ (ম্যাপিংয়ের আওতায় না থাকা) ৭৫ হাজার ৮৭২ জন ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হবে। আপাতত, জেলার প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় তিনটি করে শুনানি কেন্দ্র তৈরির অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই হিসাবে জেলায় ২৭টি শুনানি কেন্দ্র চালুর প্রস্তুতি শেষ করেছে প্রশাসন। জেলা নির্বাচন দফতরের দাবি, জেলায় ‘নো ম্যাপিং’ শ্রেণিভুক্ত বিপুল সংখ্যার ভোটারদের শুনানি প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে চালু রাখতে ও নির্দিষ্ট সময়ে শুনানি শেষ করতে কম পক্ষে আরও ৩০টি শুনানি কেন্দ্র তৈরি হওয়া জরুরি। শুনানি কেন্দ্রে ‘নো ম্যাপিং’ শ্রেণিভুক্ত ভোটাররা তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় তুলতে নথি জমা দেবেন। ফলে, জেলায় পর্যাপ্ত শুনানি কেন্দ্র না থাকলে ভিড়ের জেরে ভোটারদের হয়রানির মুখে পড়তে হতে পারে।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তিলকতীর্থ ভৌমিক, সিপিএমের জেলা সম্পাদক আনওয়ারুল হক এবং বিজেপির জেলা সভাপতি নিমাইচন্দ্র কবিরাজের দাবি, তাঁরা ভিন্ রাজ্যে কর্মরত ‘নো ম্যাপিং’ শ্রেণিভুক্ত ভোটারদের শুনানির আগে জেলায় ফেরানোর চেষ্টা করছেন। তিলকতীর্থ বলেন, ‘পরিযায়ীদের ‘ভার্চুয়াল’ পদ্ধতিতে শুনানি করা যায় কি না, তা প্রশাসনকে খতিয়ে দেখার অনুরোধ করা হয়েছে।’’
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে