দোরগোড়াতেই প্রশাসন

জেলাশাসক বলেন, ‘‘সকলের পক্ষে রায়গঞ্জে আমার অফিসে গিয়ে দেখা করা সব সময় সম্ভব হয় না। আমরা তাই আপনাদের কাছেই এসেছি। আপনাদের কিছু সমস্যা থাকলেও আমাকে জানাতে পারবেন। যদি এখানেই সেটার সমাধান হয় তা করে দেওয়া হবে। নয়তো আবেদন গ্রহণ করা হবে।’’ পরবর্তী ক্যাম্প যখন হবে তখন সেই সুবিধা তুলে দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

হেমতাবাদ শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৮ ০৮:৩০
Share:

সংযোগ: কর্মসূচিতে শংসাপত্র দিচ্ছেন আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র

প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে জেলায় জেলায় গিয়ে বৈঠক করছেন। সেই পথেই প্রত্যন্ত এলাকায় বাসিন্দাদের দরজায় গিয়ে তাঁদের কাছে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হল উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। ‘গ্রাম সংযোগে প্রশাসন’ নামে এই কর্মসূচির সূচনা হল বৃহস্পতিবার।

Advertisement

এ দিন জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা দফতরের চার অতিরিক্ত জেলাশাসক, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার আধিকারিক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা, জেলা পরিষদের সহকারী কার্যনির্বাহী আধিকারিক অশোককুমার মোদক-সহ বিভিন্ন আধিকারিকদের নিয়ে হেমতাবাদ ব্লকের প্রত্যন্ত চৈনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে যান। সেখানে ভরতপুর হাই স্কুলের মাঠে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছে দিতে শিবির করা হয়।

সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল, রেশন কার্ড, সংখ্যালঘু শংসাপত্র, গীতাঞ্জলি, স্বাস্থ্য সাথীর মতো প্রকল্পেরর সুবিধা, গাছের চারা বিলি করা হয় বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে। কৃষকদের চাষের সামগ্রী দেওয়া হয়। জেলাশাসক বলেন, ‘‘সকলের পক্ষে রায়গঞ্জে আমার অফিসে গিয়ে দেখা করা সব সময় সম্ভব হয় না। আমরা তাই আপনাদের কাছেই এসেছি। আপনাদের কিছু সমস্যা থাকলেও আমাকে জানাতে পারবেন। যদি এখানেই সেটার সমাধান হয় তা করে দেওয়া হবে। নয়তো আবেদন গ্রহণ করা হবে।’’ পরবর্তী ক্যাম্প যখন হবে তখন সেই সুবিধা তুলে দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

Advertisement

এ দিন সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি, ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য, করণদিঘির বিধায়ক মনোদেব সিংহ, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষদের একাংশ। তাঁদের হাত দিয়ে পড়ুয়াদের সবুজ সাথীর সাইকেল, বাসিন্দাদের শংসাপত্র, গাছের চারা দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের তরফে কাউন্টার করা হয়। ব্যানার টাঙিয়ে সরকারি সুযোগ সুবিধার প্রচার করা হয় বাসিন্দাদের মধ্যে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরও ছিল। পরবর্তী কালে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও একই ভাবে বিভিন্ন পরিষেবা বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছে দিতে তাঁরা উদ্যোগী হবেন বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন