দুর্ঘটনায় গাড়ি, ডিএম সুস্থই

বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা। শনিবার দুপুরে রায়গঞ্জের পানিশালার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি পিকআপভ্যানের সঙ্গে জেলাশাসকের ছোট গাড়িটির ধাক্কা লাগে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৫২
Share:

দুর্ঘটনাগ্রস্ত: জেলাশাসকের গাড়ি। রায়গঞ্জে। নিজস্ব চিত্র

বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা। শনিবার দুপুরে রায়গঞ্জের পানিশালার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি পিকআপভ্যানের সঙ্গে জেলাশাসকের ছোট গাড়িটির ধাক্কা লাগে। গাড়ির সামনের ডান দিকের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তিনি, তাঁর দুই নিরাপত্তারক্ষী ও চালকের আঘাত লাগেনি। পিকআপভ্যানের চালকের পায়ে চোট লাগায় তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। খবর পেয়ে প্রশাসন অন্য একটি ছোটগাড়ির ব্যবস্থা করে জেলাশাসক ও তাঁর দুই নিরাপত্তারক্ষীকে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা করিয়ে দেয়।

Advertisement

এই বিষয়ে জেলাশাসককে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএসেরও জবাব দেননি। পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে জেলাশাসককে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলে তিনি জানান, গাড়ির সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তাঁরা কেউ জখম হননি।

পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের দাবি, দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পিকআপভ্যানের চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই এলাকার জাতীয় সড়ক মসৃণ ও রাস্তায় অনেক বাঁক থাকায় অতীতেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা রুখতে জেলা পুলিশের তরফে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে ওই এলাকায় যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা বসানোর অনুরোধ করা হবে।

Advertisement

এ দিন জেলার শেষ প্রান্তের ব্লক চোপড়ায় গ্রাম সংযোগে প্রশাসনের অনুষ্ঠান ছিল। দুপুরে কর্ণজোড়ার দফতর থেকে সরকারি ছোট গাড়িতে চেপে চোপড়ার উদ্দেশে রওনা হন জেলাশাসক। চালক ছাড়াও জেলাশাসকের দু’জন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। কর্ণজোড়া থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে পানিশালার জাতীয় সড়কে রায়গঞ্জগামী শুকনো লঙ্কা বোঝাই একটি পিকআপভ্যানের সঙ্গে তাঁদের গাড়িটির ধাক্কা লাগে। চালকদের তত্পরতায় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলেও গাড়ির সামনের অংশে ক্ষতি হয়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পিকআপভ্যানটিকে আটক করে সেটির জখম চালককে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। পানিশালার বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী মহম্মদ আলি ও মহম্মদ সরিফুদ্দিনের দাবি, দু’টি গাড়িই অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলছিল। একেবারে সামনাসামনি ধাক্কা লাগলে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement