প্রতীকী ছবি।
শিলিগুড়ি পুরসভার বিভিন্ন সাব হেল্থ পোস্টে আংশিক সময়ের কাজে নিযুক্ত তিন চিকিৎসক এমবিবিএস-এর বৈধ শংসাপত্র দেখাতে না-পারায় তাদের ছাঁটাই করলেন কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য জানান, ভুয়ো চিকিৎসক নিয়ে যে ভাবে হইচই হচ্ছে তা দেখে পুরসভার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যুক্ত চিকিৎসকদের শংসাপত্র মেলাতে বলা হয়। পুরসভার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অন্তত ২৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন। তার মধ্যে তিন জন চিকিৎসক বৈধ শংসাপত্র দেখাতে পারেননি। পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, তাঁদের নাম সঞ্জয় কুমার দাস, কমল সরকার এবং সত্যরঞ্জন সরকার। ২০ জুন চিঠি পাঠিয়ে তাদের ছাঁটাই করার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
মেয়র বলেন, ‘‘বৈধ শংসাপত্র না দেখাতে পারায় ওই চিকিৎসকদের ছাঁটাই করা হয়েছে।’’ তবে এখনও তাদের নামে পুলিশের কাছে বা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে কেন অভিযোগ জানানো হয়নি সেই প্রশ্নও উঠেছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এক চিকিৎসক এমবিবিএস আয়ুর্বেদ-এর শংসাপত্র দিয়েছেন। এ ধরনের শংসাপত্র ভুয়ো বলে জানতে পেরেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। বাকিরা অলটারনেটিভ মেডিসিনের শংসাপত্র দিয়ে এমবিবিএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত চিকিৎসক হিসাবে কাজ করছিলেন। মেয়র জানিয়েছেন, ‘‘বিষয়টি দ্রুত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানানো হবে। পুলিশেও অভিযোগ জানানো হবে পুরসভার তরফে।’’ পুর কর্তৃপক্ষের সন্দেহ, পুরসভার চিকিৎসক হিসেবে কাজ করার সুবাদে পরিচিতি লাভ করে বাইরে কোথাও চেম্বারও চালাতেন অভিযুক্তরা।
বৈধ শংসাপত্র ছাড়া কী ভাবে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁদের চাকরি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা উচিত বলে পুরসভার কর্মী আধিকারিকদের অনেকেই মনে করেন। কার সময় কী ভাবে ওই চিকিৎসকরা নিয়োগ হয়েছিলেন তা পরিষ্কার করে জানানোর দাবিও উঠেছে। পুরসভার একটি সূত্রই জানিয়েছে, অভিযুক্তদের একাংশকে ২০০০ সালে বা তারও আগে নিয়োগ করা হয়। বাকি চিকিৎসক নিয়োগ হয়েছে বছর কয়েক আগে। কর্তৃপক্ষ জানান, ওই চিকিৎসকদের নথিপত্র বিস্তারিত দেখা হচ্ছে। তার পরেই পুলিশে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।