১৫ লক্ষের মাদক ডোডা উদ্ধার, গ্রেফতার ৫

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ির বিধাননগর থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের মাদক, ডোডা উদ্ধার করল কলকাতা নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-এর আধিকারিকরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:২৭
Share:

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিলিগুড়ির বিধাননগর থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের মাদক, ডোডা উদ্ধার করল কলকাতা নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-এর আধিকারিকরা।

Advertisement

সোমবার রাতে এসএসবির সহায়তা নিয়ে ডোডা তৈরির উপকরণ পপি ফলের খোসা ও তৈরি করা পাউডার উদ্ধার করেন তাঁরা। বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় পাঁচ জনকে। সকলেই বিধাননগর এলাকার বাসিন্দা। এনসিবি আধিকারিক সূত্রে জানানো হয়েছে, ধৃতদের নাম সুশীল দত্ত, মানিক দত্ত, বিজয় মজুমদার, পরিমল সরকার ও বিশ্বজিৎ মজুমদার। এদের মঙ্গলবার শিলিগুড়ি আদালতে বিশেষ মাদকবিরোধী আদালতে বিচারক অজয় দাসের এজলাসে পেশ করা হলে তাদের ১৪ দিনের জেলপ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক বলে জানান এনসিবির আইনজীবী রতন বনিক।

রতনবাবু বলেন, ‘‘ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’’ এনসিবি আধিকারিকরা জানান, তাঁদের কাছে গোপন সূত্রে খবর যায়, বিধাননগর এলাকায় পপি ফলের খোসা দিয়ে মাদক তৈরি হচ্ছে। এর নাম ‘ডোডা’। যা চা, সরবত ও দুধে মিশিয়ে নেশার দ্রব্য হিসেবে নেওয়া হয়। ডোডায় অনেকটা আফিমের মতই নেশা হয় বলে জানা গিয়েছে। এই চক্রটির সঙ্গে শিলিগুড়ি থেকে মালদহের বহু মানুষ জড়িত রয়েছে বলে তাঁদের কাছে খবর যায়। গত মাসে মালদহে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতরা করা হয়।

Advertisement

সোমবার রাতে তারই সূত্র ধরে বিধাননগরের ওই ঠেকে অভিযান চালানো হয়। এখানে কাঁচামাল নিয়ে এসে তা গুঁড়ো করে পাউডার বানিয়ে তা এক কেজির প্যাকেটে ভরে বিক্রি করা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। চালের গুঁড়ো করার মেশিনেই আড়ালে এই ডোডা তৈরি হত। বাজেয়াপ্ত হয়েছে সেই গুঁড়ো করার মেশিনও। এনসিবির ইন্টেলিজেন্স অফিসার আর কে শাহ বলেন, ‘‘মোট ৭৫২ কেজি পপি ফলের খোসা ও ১২২০ কেজি পাউডার উদ্ধার হয়েছে।’’ ধৃতদের সকলেরই বাড়ি বিধাননগর, ভীমবার, এলাকায় বলে জানান তিনি। এক গোয়েন্দা অফিসার এম কে মণ্ডলের দাবি, ‘‘এর সঙ্গে আরও বড় চক্র জড়িত থাকতে পারে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘পাঁচ জন ছাড়াও আরও কয়েকজন ছিল। তাদের গ্রেফতার করা যায়নি। তবে তাদের তল্লাশি চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement