নিউ জলপাইগুড়ি এলাকায় সংগঠন মজবুত করতে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেন। গোষ্ঠী কোন্দল, সংগঠনের রসিদ ছাপিয়ে টাকা তোলা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে বৃহস্পতিবার নিউ জলপাইগুড়িতে এক সভায় জানিয়ে দিলেন তিনি। দোলার বক্তব্য, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের সুনাম রয়েছে। দার্জিলিং এবং ডুয়ার্স ঘুরতে বহু দেশি বিদেশি পর্যটক এখানে যতায়াত করেন। সে কারণে এখানকার পরিবেশ উত্তপ্ত হলে তাদের কাছেও খারাপ বার্তা যাবে। কোনও ভাবেই এই এলাকায় দলের মধ্যে গোলমাল বরদাস্ত করা হবে না।
দোলা বলেন, ‘‘সংগঠনের নামে রসিদ, কুপন ছাপিয়ে টাকা তোলা যাবে না। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সংগঠনের জেলা সভাপতি এবং আমাকে জানাতে হবে। সংগঠনের নামে এ ধরনের চাঁদা তোলা, দুর্নীতি, গোলমাল কোনও ভাবেই প্রশ্নয় দেওয়া হবে না।’’
তিনি জানিয়েদেন এনজেপি’র পরিস্থিতি নিয়ে তিনি সব সময়ই খোঁজখবর রাখেন। দলের মধ্যে কেউ গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছে দেখলে সংগঠনের দার্জিলিং জেলা সভাপতি অরূপ রতন ঘোষকে তিনি কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এ দিন সভায় অরূপবাবু ছাড়া সংগঠনের জলপাইগুড়ির জেলা সভাপতি মিঠু মোহন্ত, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের সভাপতি প্রণব দে, প্রাণেশ্বর ধর উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন তৃণমূল নেতা মদন ভট্টাচার্য, আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোহন শর্মা, নিউ জলপাইগুড়ি এলাকায় শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বে থাকা প্রসেনজিৎ রায়। অরূপবাবু বলেন, ‘‘নিউ জলপাইগুড়ি এলাকায় সংগঠনের মধ্যে কোনও রকম গোলমাল, তোলাবাজি দেখলেই তিনি ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তাঁর কথা মতো কাজ করব।’’
বিজন ওরফে জন নন্দীর মৃত্যুর পর নিউ জলপাইগুড়ি এবং লাগোয়া এলাকার দখল নিয়ে জয়দীপ নন্দী এবং প্রসেনজিৎ রায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল বাঁধে। সংগঠনের নেত্রী এ দিন জানিয়ে দেন তাঁরা এক বছর অপেক্ষা করে দেখেছেন। দলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেবের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে। তার পরেই জয়দীপ নন্দীকে তৃণমূলের এই এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রসেনজিৎ রায়কে শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কালচিনিতে প্রয়াত নেতা জোয়াকিম বক্সলার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেই বুধবার রাতে আসেন দোলা। এ দিন ফেরার পথে নিউ জলপাইগুড়িতে একটি লজের হলঘরে কর্মীদের নিয়ে ওই সভা করেন তিনি।