গবেষণা কেন্দ্রের বাগান বিক্রির প্রস্তাব

১৯৭৭-এ কার্শিয়াংয়ে রিসার্চ সেন্টার তৈরি হয়েছিল। টি বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে ওটাই চা-এর জন্য দেশের একমাত্র সরকারি গবেষণা কেন্দ্র। রিসার্চ সেন্টারের বাগানে বিভিন্ন প্রকার চা গাছের ক্লোন তৈরি করা হয়। রয়েছে একটি নার্সারিও। বাগান, অফিসঘর, আবাসন মিলিয়ে গবেষণা কেন্দ্রে প্রায় ৫৪ একর জমি রয়েছে। তারমধ্যে অফিসঘর ও আবাসনের প্রায় ৫ একর জমি বাদ দিয়ে বাকি জমি বিক্রির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘‘ওই বিষয়ে যা বলার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলবে।’’

Advertisement

শুভঙ্কর চক্রবর্তী

কার্শিয়াং শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৩৩
Share:

প্রায় ৪৯ একর জুড়ে রয়েছে চা বাগান। তার পুরোটাই বিক্রি করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে টি বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের চিঠি পাঠালেন ‘দার্জিলিং টি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’ (ডিটিআরডিসি)-এর দায়িত্বে থাকা বোর্ডের ডিরেক্টর (গবেষণা) বিশ্বজিৎ বেরা। বুধবার ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

গবেষণার কাজের জন্য ওই বাগান ব্যবহার করে টি বোর্ড। বাগানের কাঁচা চা পাতাও বিক্রি করা হয়। চিঠিতে শ্রমিক অসন্তোষ এবং লোকসানকেই বিক্রির কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন বিশ্বজিৎবাবু। ওই চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসার পরই শোরগোল পরেছে। রিসার্চ সেন্টার বন্ধ করে দেওয়ার জন্যই বাগান বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে কিনা সেই প্রশ্নও উঠেছে। লিজে নেওয়া রাজ্য সরকারের জমি কীভাবে বিক্রির প্রস্তাব দেন টি বোর্ডের কর্তা তা নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রভাত বেজবড়ুয়া বলেন, ‘‘চিঠি পেয়েছি। রিসার্চ সেন্টার বন্ধ হবে না। বাগান চালাতে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে।’’

১৯৭৭-এ কার্শিয়াংয়ে রিসার্চ সেন্টার তৈরি হয়েছিল। টি বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে ওটাই চা-এর জন্য দেশের একমাত্র সরকারি গবেষণা কেন্দ্র। রিসার্চ সেন্টারের বাগানে বিভিন্ন প্রকার চা গাছের ক্লোন তৈরি করা হয়। রয়েছে একটি নার্সারিও। বাগান, অফিসঘর, আবাসন মিলিয়ে গবেষণা কেন্দ্রে প্রায় ৫৪ একর জমি রয়েছে। তারমধ্যে অফিসঘর ও আবাসনের প্রায় ৫ একর জমি বাদ দিয়ে বাকি জমি বিক্রির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘‘ওই বিষয়ে যা বলার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলবে।’’

Advertisement

গবেষণা কেন্দ্রের চা বাগানে ৩৪ জন শ্রমিক কাজ করেন। শেষ তিন বছরে বিভিন্ন খাতে শ্রমিকদের কয়েক লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে। সেই টাকা মেটানোর দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলন শুরু হয়েছে। চিঠিতে বিশ্বজিৎবাবু জানিয়েছেন, ২০১৩-১৬ সালে কেন্দ্র চালাতে ৪৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে টি বোর্ডের।

শ্রমিক নেতা নারায়ণ তামাং বলেন, ‘‘পরিকল্পনামাফিক মিথ্যা অভিযোগ তুলে বাগান বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। পাতা, চারাগাছ, ক্লোন বিক্রি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হওয়া উচিত। লাগাতার আন্দোলন হবে।’’ শ্রমিকদের দাবি মেনে তদন্তর আশ্বাস দিয়েছেন টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। কার্শিয়াংয়ের মহকুমা শাসক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই বিষয়ে কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন