ভোররাতে আবার কাঁপল কোচবিহার

কোচবিহার কলেজে সম্প্রতি বিপর্যয় মোকাবিলা বিষয়ক কর্মশালা হয়। ওই কর্মশালার কো-অর্ডিনেটর তথা ভূগোলের অধ্যাপক তপন দাস বলেন, “জেলার বেশ কিছু এলাকা ভূমিকম্প প্রবণ জোন-ফাইভের আওতায় রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৮ ০২:৩৬
Share:

মহড়া: ভূমিকম্প মোকাবিলায় স্কুলে কর্মশালা। নিজস্ব চিত্র

ফের ভূমিকম্পে কাঁপল কোচবিহার। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে ২৯ মিনিট নাগাদ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর ধরেই কোচবিহারে কম্পন অনুভূত হচ্ছে। মাস দুয়েক আগেও কম্পন হয়। ফলে উদ্বেগ বেড়েছে বাসিন্দাদের। এই পরিস্থিতিতে বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেও বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহারের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে সম্প্রতি বিপর্যয় মোকাবিলার প্রশিক্ষণ, মহড়া হচ্ছে। ভূমিকম্পের মতো বিপর্যয়ের সময় মাথা ঠান্ডা রেখে সাবধানতা নিলে ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটা এড়ানো যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সে সব নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই স্কুল-কলেজে আগে থেকে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি আরও ৫০টি স্কুলে সচেতনতা বাড়াতে কর্মসূচি চলছিলই। এ বার সমস্ত স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদেরই সচেতনতার আওতায় আনার পরিকল্পনা হয়েছে।

বিপর্যয় মোকাবিলার দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলাশাসক সুনীল অগ্রবাল বলেন, “সাবধানতা নেওয়ার পাশাপাশি মাথা ঠান্ডা রেখে কেমন ভাবে বিপর্যয়ের মোকাবিলা করা সম্ভব, সে সব মহড়াতে দেখানো হচ্ছে।” জেলাশাসক কৌশিক সাহা এ দিন বলেন, “ভোরে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। মৃদু কম্পন অনুভব করেছি। বিপর্যয় মোকাবিলায় সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।”

Advertisement

বাসিন্দাদের অভিযোগ, এমনিতেই কোচবিহার ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত। অথচ শহর জুড়ে বহুতলের সংখ্যা বাড়ছে। নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির নেপাল মিত্র বলেন, “নিয়ন্ত্রণ আনা দরকার।” পুরসভা সূত্রের অবশ্য দাবি, নিয়ম মেনেই নকশা অনুমোদন করা হয়। সতর্কতাও বাড়ানো হয়েছে।

কোচবিহার কলেজে সম্প্রতি বিপর্যয় মোকাবিলা বিষয়ক কর্মশালা হয়। ওই কর্মশালার কো-অর্ডিনেটর তথা ভূগোলের অধ্যাপক তপন দাস বলেন, “জেলার বেশ কিছু এলাকা ভূমিকম্প প্রবণ জোন-ফাইভের আওতায় রয়েছে। তাই বাড়ি তৈরিতে সতর্কতা জরুরি। সাধারণ ক্ষেত্রে দোতলার বেশি না করাই ভাল। তা ছাড়া ভূমিকম্পে অযথা আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি, দৌড়োদৌড়ি করা উচিত নয়। শক্ত খাট, টেবিলের নীচে আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। কলেজে পড়ুয়াদের নিয়ে একটি বিপর্যয় মোকাবিলা দলও করা হয়েছে।”

ওই কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, “কর্মশালায় ভাল সাড়া মিলেছে। ধারাবাহিক ভাবে সচেতনতার উদ্যোগ চলবে।” প্রশাসন ও কলেজ সূত্রেই জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের পাশাপাশি বন্যা, ঝড়, ঘূর্ণিঝড়, অগ্নিকাণ্ড, সাপের কামড়ের মতো আচমকা বিপদের আশঙ্কা, সতর্কতা থেকে কোন পরিস্থিতিতে কী করা দরকার সে সব নিয়েও কর্মসূচিতে জোর দেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন