পাহাড়ের রং লাল-হলুদ

সময়ের খাতায় লেখা হয়ে গেল, প্রথম জিটিএ চেয়ারম্যান্স গোল্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হল ‘রেড অ্যান্ড গোল্ড’রা।

Advertisement

নীতেশ বর্মণ

কালিম্পং শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:৪৪
Share:

বিজয়ী: কালিম্পঙে রবিবার প্রথম জিটিএ চেয়ারম্যান্স গোল্ড কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইস্টবেঙ্গল দলের উচ্ছ্বাস। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

বড়দিনের আগে বাহারি সাজ দেখা যায় কালিম্পঙে। কিন্তু সেই বড়দিনের সাজসজ্জাকে ছাপিয়ে এক দিনের জন্য রবিবার কালিম্পঙের রং হয়ে গিয়েছিল লাল-হলুদ! এ দিন টাইব্রেকারে ফাইনাল জিতে নিয়ে ইতিহাস গড়ল ইস্টবেঙ্গল। সময়ের খাতায় লেখা হয়ে গেল, প্রথম জিটিএ চেয়ারম্যান্স গোল্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হল ‘রেড অ্যান্ড গোল্ড’রা।

Advertisement

ডম্বর চক থেকে মেলা গ্রাউন্ডে যাতায়াতের সব রাস্তাই লাল-হলুদ পতাকায় যেন মোড়া। কলকাতা, শিলিগুড়ি থেকে যাওয়া ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা তো বটেই, পাহাড়ি ছেলেমেয়েদের অনেকের গায়েও একই জার্সি। মাঠের সামনে দাঁড়িয়ে কমল তামাং বললেন, ‘‘সেই কবে থেকে আমি ইস্টবেঙ্গলের সাপোর্টার। প্রিয় দলের খেলা হচ্ছে আসব না! ’’

ইতিউতি অবশ্য মহামেডানের সাদা-কালো জার্সিও দেখা গিয়েছে। ডম্বর চকের ফুটপাতের হকার সোনম শেরপা বললেন, ‘‘লাল হলুদ ৫০টা বিক্রি করেছি। সাদা-কালো ছ’টা বিক্রি হয়েছে।’’

Advertisement

খেলার মাঠে আগাগোড়া বসেছিলেন জিটিএ-এর কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান বিনয় তামাং। তিনি বললেন, ‘‘এটাও তো ডার্বি ম্যাচ বলা যেতে পারে। পাহাড়ের সকলেই চুটিয়ে উপভোগ করেছেন। এর পরের বার আরও বড় মাপের আয়োজন হবে।’’ শিলিগুড়ি থেকে গিয়েছিলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবও। তিনি বললেন, ‘‘শীতের পাহাড়ে এত বড় ফুটবলের আয়োজন দার্জিলিঙের মাথায় আরও একটা মুকুট এনে দিল। প্রতি বছর সবরকম সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকার।’’ এ দিন সকাল থেকেই গাড়িতে লাল-হলুদ পতাকা টাঙিয়ে কালিম্পঙের দিকে রওনা হয় শতাধিক গাড়ি। স্থানীয় লাল-হলুদ সমর্থকরাও যোগ দিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে। তাতেই পাহাড় আর সমতলের সমর্থকদের রঙে মিলেমিশে লাল-হলুদ হয়ে উঠল গোটা কালিম্পং। খেলা শেষ হতেই গ্যালারি থেকে মাঠে নেমে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরলেন। শিলিগুড়ির ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ক্লাবের সম্পাদক সঞ্জয় সাহা বলেন, ‘‘ফুটবল সবাইকে মিলিয়ে দিতে পারে। এ এক দারুণ অভিজ্ঞতা হল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন