শিক্ষাকর্তা প্রহৃত

এক শিক্ষাকর্তাকে ফালাকাটা এলাকার কিছু বাসিন্দা বেধড়ক মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ওই কর্তার সঙ্গে ছিলেন ছয় সঙ্গী। তাঁদেরও মারধর করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনার পরে পুলিশ গিয়ে কোনওক্রমে ওই শিক্ষাকর্তা ও তাঁর সঙ্গীদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৫ ০২:০৬
Share:

এক শিক্ষাকর্তাকে ফালাকাটা এলাকার কিছু বাসিন্দা বেধড়ক মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ওই কর্তার সঙ্গে ছিলেন ছয় সঙ্গী। তাঁদেরও মারধর করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনার পরে পুলিশ গিয়ে কোনওক্রমে ওই শিক্ষাকর্তা ও তাঁর সঙ্গীদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। তবে ফালাকাটা শহরে ওই ঘটনার পর রবিবার পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। আলিপুরদুয়ারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অম্লান ঘোষ অবশ্য বলেছেন, ‘‘নিগৃহীত শিক্ষাকর্তাকে উদ্ধার করা হয়।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এলাকার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভও দেখান। তারপরেই ওই শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে ওই শিক্ষাকর্তা পাড়ায় গিয়ে বাসিন্দাদের গালিগালাজ করলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। তা থেকেই হাতাহাতি। ও পরে মারধর করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের সঙ্গে ওই শিক্ষাকর্তার আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। ওই শিক্ষাকর্তা অবশ্য দাবি করেছেন, “ওই এলাকায় আমি এক শিক্ষকের বাড়িতে গিয়েছিলাম দফতরের কাজে। ফেরার সময় রাত দশটা নাগাদ স্থানীয় ছেলেরা জানতে চায় টেট পরীক্ষার ফর্ম কেন মিলছে না? তারা আমার গাড়ি ঘিরে ধরে। আমি গাড়ি থেকে নেমে তাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। হঠাৎ অন্ধকারে কেউ ঢিল ছোড়ে। সেটি আমার ডান চোখের নীচে লাগে। আমার গাড়িতে মদের বোতল ও তরোয়াল জাতীয় অস্ত্র রেখে দেওয়া হয়। সেগুলি ফালাকাটা থানায় দিয়েছি।” হামলা নিয়ে কেন অভিযোগ জানাননি? তিনি বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছি।”

Advertisement

তৃণমূলের আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। শিক্ষামন্ত্রীকে জানাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন