ভোট চেয়ে চা-ই ভেট

দুপুর তিনটে। সকালের মেঘ সরিয়ে তখন ঝকঝকে রোদ। কার্শিয়াঙের তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে উতরাইয়ের পথ ধরলেন সাংসদ মুকুল রায়। ভোটের প্রচারে এসে এ দিন কার্শিয়াঙে কর্মিসভা করার কথা ছিল মুকুলবাবুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কার্শিয়াং শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৭ ১৩:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

দুপুর তিনটে। সকালের মেঘ সরিয়ে তখন ঝকঝকে রোদ। কার্শিয়াঙের তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে উতরাইয়ের পথ ধরলেন সাংসদ মুকুল রায়। ভোটের প্রচারে এসে এ দিন কার্শিয়াঙে কর্মিসভা করার কথা ছিল মুকুলবাবুর। পার্টি অফিসে কর্মীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কাটিয়ে সাংসদ বললেন, ‘‘এ বার রাস্তায় হাঁটব। বাজারে যাব। সকলের সঙ্গে চা খাব।’’ দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কার্শিয়াঙের বিভিন্ন রাস্তায় হেঁটে, বাজারে দাঁড়িয়ে, পথচলতি মানুষদের ডেকে কথা বলে, চা খেয়ে ও খাইয়ে প্রচার সারলেন মুকুল।

Advertisement

শুক্রবার পাহাড়ের চার পুরসভায় প্রচারের শেষ দিন। দার্জিলিং-মিরিকে সভা ও বাড়ি বাড়ি প্রচার সেরে বুধবার দুপুরে কার্শিয়াং পৌঁছন মুকুলবাবু। পার্টি অফিসে দলের প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সব বুথে এজেন্ট রয়েছে কিনা খোঁজ করেন।

ভোট বাক্স সিল হওয়া পর্যন্ত এজেন্ট, কর্মী-সমর্থক সকলেই যেন ভোট কেন্দ্র এবং আশেপাশে থাকেন তার নির্দেশ দেন। মুকুলবাবু বলেন, ‘‘প্রায় তিন দশক পরে পাহাড়ে ভোট হতে চলেছে। গণতন্ত্রে ভোট একটি উৎসব। আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকরা গণতান্ত্রিক ভাবেই লড়বেন।’’

Advertisement

কার্শিয়াং রেল স্টেশনের উল্টো দিকে একটি চায়ের দোকানের সামনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়ান মুকুলবাবু। পথচলতি অনেকেই তাঁকে দেখে থমকে দাঁড়িয়েছেন। কয়েকজনকে চা খাওয়ারও অনুরোধ করেন তিনি। সাংসদের সঙ্গে চায়ের কাপ হাতে ছবি তুলেছেন কেউ কেউ। যুবক থেকে বৃদ্ধ যাঁর সঙ্গেই কথা হয়েছে মুকুলবাবু বলেছেন, ‘‘নির্ভয়ে ভোট দিন।’’

এ দিন দার্জিলিঙে প্রচারের ফাঁকে কর্মী-সমর্থকদের নিজের মোবাইল নম্বর বিলিয়েছেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের দিন বা আগে কোথাও সন্ত্রাস-কারচুপির চেষ্টা হলেই খবর দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। সকালে দার্জিলিঙের দু’টি ওয়ার্ডে পদযাত্রা এবং একটি কর্মিসভা করেছেন রাজীববাবু এবং বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। বাড়ি বাড়ি প্রচারও করেছেন তাঁরা। সমর্থকদের মোবাইল নম্বর দেওয়া প্রসঙ্গে রাজীববাবুর মন্তব্য, ‘‘ভোটের দিন কোনও পরিস্থিতিতেই কর্মী-সমর্থকরা যাতে নিজেদের অসহায় না ভাবেন সে কারণে আমাদের ফোন
নম্বর দিয়েছি।’’

জিটিএ-এর সভাসদ তথা মোর্চা নেতা যোগেন্দ্র রাইয়ের দাবি, ‘‘যত মন্ত্রী-সাংসদই আসুন। বাসিন্দারা মোর্চার সঙ্গেই রয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন