মহিলাকে তুলে আছাড় হাতির

হাতিটি দেখে এলাকার লোকজন বাইরে চলে এসেছিলেন। সেই সময় আচমকা মেহেরা বানু এবং নাথুলাল কুমার হাতিটির সামনে পড়ে যান। দু’জনকে পড়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৮ ০৪:০৯
Share:

তাণ্ডব: হাতি ছিঁড়ে দিয়েছে বাজারের ত্রিপল। নিজস্ব চিত্র

প্রায় ঘণ্টাখানেক বাজার ও পাড়ায় পাড়ায় দাপিয়ে জঙ্গলে ফেরার পথে এক মহিলাকে আছাড় দিয়ে মারল একটি দলছুট দাঁতাল হাতি। বুনোটির হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন এক যুবক-সহ পাঁচজন। গভীর রাতে হাতি দেখে দৌড়ে পালাতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে জখম হয়েছেন দুই সিভিক ভলান্টিয়রও। বৃহস্পতিবার রাতে নকশালবাড়ি সদরের ঘটনা। শুক্রবার স্থানীয়েরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে সোচ্চার হন। দন দফতরের তরফে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

মৃতার নাম মেহরা বানু (২৫)। তোতরাম জোতে তাঁর বাড়ি। হাতিটি দেখে এলাকার লোকজন বাইরে চলে এসেছিলেন। সেই সময় আচমকা মেহেরা বানু এবং নাথুলাল কুমার হাতিটির সামনে পড়ে যান। দু’জনকে পড়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নাথুলাল-সহ তিন জন মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন।

হাতিটি নকশালবাড়ি বাজারের একাধিক দোকানের সামনের শেড নষ্ট করেছে। একটি কাঠের মিলের সামনে রাখা একটি ছোট গাড়ির ক্ষতি করেছে। তেমনই, ফেরার পথে বাতারিয়া নদীর উপর সেতুর রেলিং-ও ভেঙে ভোর নাগাদ জঙ্গলে ঢুকেছে। খবর পেয়ে বন কর্মীরা এলাকায় আসেন। তারা হাতির পালের উপর নজরদারি শুরু করেন। বন দফতরের নকশালবাড়ির রেঞ্জার সুরেশ নার্জিনারি বলেন, ‘‘এমন ভাবে শহর এলাকায় সাধারণ হাতি ঢোকে না। কিন্তু দলছুটটি বিভ্রান্ত হয়ে ঢুকে পড়েছিল। নজরদারি জারি রেখেছি।’’

Advertisement

বন দফতর সূত্রের খবর, রাত ১২টা নাগাদ কলাবাড়ি, বাগডোগরার দিক থেকে নকশালবাড়ির জঙ্গলে ঢুকছিল একটি হাতির পাল। প্রথমে তিনটি হাতি পথ ভুলে নকশালবাড়ি স্টেশন লাগোয়া লিচু বাগানে ঢুকে পড়ে। এদিন সকালে এক ব্যক্তির বাড়ির বাইরে রাখা সিসিটিভির ফুটেজে হাতিটিকে দেখা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন