স্বজনহারা: মেয়ের মৃত্যু দেখেছেন এতোয়ারি। নিজস্ব চিত্র
মায়ের চোখের সামনেই মেয়েকে ধাওয়া করে পিষে মারল হাতি। রাজাভাতখাওয়া নয়াবস্তি এলাকায় রবিবার ভোরের ঘটনা। গত একমাসে রাজাভাত খাওয়া অঞ্চলে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল তিন জনের। মৃতার নাম ফাউরি ওঁরাও (৩১)।
রবিবার সকালে নদী থেকে শাক তুলে কুড়ি মাইল বনবস্তির কয়েকজন বাসিন্দা যাচ্ছিলেন ট্রেন ধরতে। সেসময় আচমকা নয়াবস্তি এলাকায় রাস্তায় বেড়িয়ে আসে দাঁতালটি। ফাউরির মা এতোয়ারি ওঁরাও-সহ বাকিরা এদিক ওদিক পালাতে সক্ষম হলেও, আর কোনও জায়গা না পেয়ে একটি গাছের আড়ালে আশ্রয় নেন ফাউরি। দাঁতালটি গাছের পিছনে থেকে টেনে বের করে ফাউরিকে পিষে মারে। পরপর হাতির আক্রমণে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা রেঞ্জ অফিস, রাজাভাতখাওয়া চেকপোস্ট তালা মেরেছে।
ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে ফাউরির বাড়িতে। স্বামী পরিত্যক্তা ফাউরির দুই সন্তান, বছর দশের রিমা ও বছর আটেকের মুকেশ। এতোয়ারি ওরাঁও জানান, ‘‘হাতিটি তাড়া করায় সবাই একটি দোকানের পিছনে আশ্রয় নিয়েছিলাম। মেয়েকে মারার পরেও বাকিদের খুঁজছিল হাতিটি।’’ পরে গ্রামের লোকেরা বেড়িয়ে হাতিটিকে তাড়ায় বলে জানান তিনি।
তৃণমূলের নেতা অ্যালবার্ট সাংমা ও গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্যদের দাবি, হাতিটিকে ‘রোগ’ ঘোষণা করুক বনদফতর। সন্ধে নামলেই রাজাভাত খাওয়া, উত্তর পানিয়ালগুড়ি-সহ একাধিক বন বস্তির ত্রাস হয়ে উঠেছে এই দাঁতাল হাতিটি। তাঁদের আরও দাবি, ফাউরির দুই নাবালক সন্তানের দায়িত্ব নিক বনদফতর।