বেষ্টনি তৈরি করা বা ট্র্যাক আলাদা করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই রেলের ধাক্কায় হাতি মৃত্যু ঠেকাতে আপাতত নজরদারিতেই থাকবে রেল।
শুক্রবার নিউ কোচবিহারে স্টেশনে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানান উত্তর-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রণবজ্যোতি শর্মা। তিনি দাবি করেন, গত পাঁচ বছর ধরে নজরদারি বাড়িয়ে ৬৫৬টি হাতিকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে রেল। হাতি তাড়াতে মৌমাছির গুঞ্জনও কাজে লাগছে বলে তাঁর দাবি। রঙ্গিয়া ডিভিশনে রেল মৌমাছির গুঞ্জনকে কাজে লাগিয়ে হাতি তাড়াতে সক্ষম হওয়া গিয়েছে।
মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, ‘‘হাতি মৃত্যু ঠেকাতে অনেক বড় বড় সমাধান রয়েছে। যেমন, ট্র্যাক আলাদা করা, বেষ্টনি তৈরি করা। কিন্তু, সেই কাজে দরকার অনেক টাকার। সে সবের জন্যে রেল ও রাজ্য সরকার কলকাতায় আলোচনা করছে। নজরদারির মাধ্যমে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।” তিনি আরও জানান, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলে ২০১৫ সালে রেললাইনে হাতি মৃত্যু হয় ছ’টি। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে রেলের ধাক্কায় কোনও হাতির মৃত্যু হয়নি। ২০১৮ সালে অক্টোবর মাসের মধ্যে রেলের ধাক্কায় তিনটি হাতির মৃত্যু হলেও ১৮৮টি হাতি বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
নজরদারি প্রসঙ্গে জনসংযোগ আধিকারিক জানান, হাতি করিডোরগুলিতে নজর বাড়ানো হয়েছে। রাতে দুর্ঘটনা বেশি ঘটায় রাতে আলাদা ভাবে নজরদারি চালানো হয়। বন দফতরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়েছে। প্রণববাবু বলেন, “মৌমাছির গুঞ্জনে সাফল্য মিলছে বলে স্থানীয় গার্ড ও কর্মীরা জানিয়েছেন। তার উপর রিপোর্ট তৈরি হলে সমগ্র ব্যাপারটি স্পষ্ট জানা যাবে।”