মৌসুমী বায়ুর অবস্থান কিছুটা সরতেই লাগাতার বৃষ্টি বন্ধ হয়েছে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়িতে। কিন্তু, শুরু হয়েছে প্রবল দাবদাহ শুরু হয়েছে। রবিবার, ছুটির দিন শহরের তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তার উপরে সকাল থেকে বেশ কয়েকটি এলাকায় লোডশেডিং হয়েছে। বিদু্ৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কয়েকটি জায়গায় দু’ঘণ্টা গড়িয়ে যায়। সব মিলিয়ে বর্ষার সময়েও গরমে অতিষ্ঠ দুই শহরের জনজীবন।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক রঞ্জন রায় জানান, বঙ্গোপসাগরের উত্তর পশ্চিমে নিম্নচাপ অক্ষরেখা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সে দিকেই কিছুটা সরে গিয়েছে মৌসুমী বায়ু। ফলে, দক্ষিণ ভারত ও পশ্চিম ভারতে এখন ভারী বৃষ্টি হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণের পরে তাঁর পূর্বাভাস, ‘‘আগামী ১৮ জুলাই অবধি হিমালয় সংলগ্ন পাহাড় ও সমতলে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই। তবে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত বিক্ষিপ্তভাবে হবে। উত্তরের সমতলে তাপমাত্রাও ৩৩-৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে।’’
তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরের উত্তর পূর্বে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা ধীরে ধীরে ঘনীভূত হচ্ছে। তা হয়ে গেলেই মৌসুমী বায়ু ফের শক্তিশালী হয়ে ভারী বৃষ্টি ঘটাবে উত্তরবঙ্গে। তবে জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহের শেষের আগে দাবদাহ কমার সম্ভাবনা খুব একটা নেই বলে রঞ্জনবাবু মনে করছেন।
দার্জিলিং পাহাড়ে এ দিন হালকা বৃষ্টি হলেও রোদ ঝলমলে ছিল পরিস্থিতি। কালিম্পং, কার্শিয়াঙে তুলনায় বেশ গরম পড়ে যায়। বৃষ্টিতে স্যাঁতসেঁতে হয়ে ওঠা পাহাড়ের জনজীবন অবশ্য ঝকঝকে রোদের কারণে খানিকটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। জিটিএ-এর এক কর্তা জানান, বৃষ্টি থামায় রাস্তা মেরামতির কাজে গতি আনা গিয়েছে।