সিট নম্বর বসানো হচ্ছে মালদহের একটি স্কুলে। নিজস্ব চিত্র
পরীক্ষা শুরুর দিনে বৃষ্টির চোখরাঙানি দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন উত্তরের জেলাগুলোর পরীক্ষার্থীরা। উত্তর ভারতের দিক থেকে আসা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তো আগে থেকে ছিলই। সোমবার থেকে তার দোসর হয়েছে বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্প। যার প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে শুরু হয়েছে ঝড়-বৃষ্টি। এ দিন বিকেল থেকেই উত্তরের আকাশেও কিছু জায়গায় শুরু হয়েছে মেঘের আনাগোনা। যা দেখে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অভিভাবকদের কপালে।
সোমবার বিকেল ৪টার পরে সিকিম, দার্জিলিঙের মত পাহাড়ি এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি শুরু হয়। যদিও সকাল থেকে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, মালদহ, রায়গঞ্জ বা বালুরঘাটে আকাশ পরিষ্কার ছিল। মালদহে ভোরের দিকে বেশ হাওয়া বইতে থাকে।
এ দিন শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির আকাশে মাঝেমধ্যেই কালো মেঘের দেখা মিলেছে। আবহাওয়াবিদেরা জানাচ্ছেন, আগামী ৭২ ঘণ্টায় পরিস্থিতি বদলানোর খুব একটা সম্ভাবনা নেই। উল্টে, উত্তরবঙ্গে বুধবার বা বৃহস্পতিবার কয়েক পশলা জোর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘নিম্নচাপ থাকবেই। বহু এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি বা শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।’’
আজ, মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। সকাল ৯টার পর থেকেই ছাত্রছাত্রীরা কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন। ঝড়-বৃষ্টি হলে নির্ধারিত সময়ের আগেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো উচিত বলে জানাচ্ছেন শিক্ষকরা। যাওয়া-আসার পথে যাতে কোনওভাবেই বৃষ্টিতে পরীক্ষার্থীরা না ভেজেন সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি দেওয়ার উপদেশও দিচ্ছেন শহর ও জেলার চিকিৎসকেরা।