জল সঙ্কটের আশঙ্কা, ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে নজর

ফরাক্কা ব্যারাজের জল সঙ্কট লাগাতার চলতে থাকলে তার প্রভাব পড়তে পারে মালদহ জেলাতেও। জেলার একাধিক ব্লকে দেখা দিতে পারে পানীয় জলের সঙ্কট। এমনই আশঙ্কায় গঙ্গা নদীতে থাকা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট গুলির উপরে নিয়মিত নজর রাখা শুরু করল জন স্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৬ ০২:০৪
Share:

ফরাক্কা ব্যারাজের জল সঙ্কট লাগাতার চলতে থাকলে তার প্রভাব পড়তে পারে মালদহ জেলাতেও। জেলার একাধিক ব্লকে দেখা দিতে পারে পানীয় জলের সঙ্কট। এমনই আশঙ্কায় গঙ্গা নদীতে থাকা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট গুলির উপরে নিয়মিত নজর রাখা শুরু করল জন স্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর।

Advertisement

সোমবার দুপুরে দফতরের কর্তারা কালিয়াচকের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট পরিদর্শনে যান। তবে এখনই জল সংকটের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মালদহের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (আর্সেনিক) ঋতম ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট গুলিতে পর্যাপ্ত জল রয়েছে। তবুও ফরাক্কা ব্যারেজে জল সঙ্কটের প্রেক্ষিতে আমরা সেই প্ল্যান্টগুলিতে নিয়মিত নজর রাখছি।

সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মার্চ থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত গঙ্গা-সহ অন্য নদী গুলির জলস্তর নিচে নেমে যায়। বিগত বছরগুলির থেকে এবার গঙ্গার জলস্তর আরও অনেকটাই নেমে গিয়েছে। এছাড়া শুখা মরসুমে মালদহ জেলায় পানীয় জলের সমস্যাও ফি বছরের। এমন মরসুমে ভুগর্ভস্থ জলস্তর নীচে নেমে যাওয়ার কারণে নদী নালার জল শুকিয়ে যায়। যার জেরে টিউবওয়েল এবং পাতকুয়োর জল শুকিয়ে গিয়ে বিপাকে পড়েন জেলাবাসী। এমনকী গঙ্গা, মহানন্দা, ফুলহারের সঙ্গে যুক্ত থাকা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টগুলিতে জল না থাকায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দেয়।

Advertisement

দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাতে গঙ্গা নদীর উপরে দু’টি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট রয়েছে। একটি রয়েছে কালিয়াচক ২ ব্লকের রাজনগরে এবং অপরটি রয়েছে মানিকচকের মথুরাপুরের শঙ্করটোলা ঘাটে। গঙ্গা নদী থেকে জল তুলে তা পরিশ্রুত করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন ব্লকে পৌঁছে দেওয়া হয়। আর সেই জলের উপর নির্ভর করেন নদীর তীরবর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষ।

এই প্ল্যান্ট গুলির মাধ্যমে পানীয় জলের পরিষেবা পান কালিয়াচক ২ ব্লকের রাজনগর, পঞ্চানন্দপুর, বাঙিটোলা, হামিদপুর গ্রামপঞ্চায়েত এবং মানিকচকের মথুরাপুর সহ পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। কয়েক হাজার হেক্টর চাষের জমিতে সেচের জন্য গঙ্গা নদীর জল ব্যবহার করা হয়। গঙ্গার জলস্তর নামতে থাকলে পানীয় জলের সমস্যা দেখা দেবে। তবে এখনই সেই সমস্যায় পড়তে হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন জেলা জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, প্ল্যান্টগুলিতে জল থাকায় এখনই এমন সমস্যার কোনও আশঙ্কা নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন