শুক্রবার রাতে জল্পেশ মন্দির। ছবি:দীপঙ্কর ঘটক।
শিবরাত্রির মেলার মঞ্চ থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মুলস্রোতে ফেরার আহ্বান জানালেন শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। শুক্রবার শিবরাত্রির মেলা শুরু হয়েছে জল্পেশ মন্দিরে। সন্ধেয় মেলার উদ্বোধন করে সৌরভ বলেন, ‘‘এখনও যাঁরা বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজকর্মে জড়িত রয়েছেন তাঁদের বলছি মূলস্রোতে ফিরে আসুন। রাজ্য সরকার সকলকে পুর্নবাসনের সুযোগ দিয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, এ বার জল্পেশ মেলায় নাশকতার আশঙ্কা করে অসমের একটি গোয়েন্দা এজেন্সি সর্তকবার্তা দিয়ছে। তার জেরেই নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। মেলা উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রসঙ্গ তোলার কারণ হিসেবে সৌরভবাবু বলেন, ‘‘হাজার হাজার বাসিন্দা মেলায় এসেছেন। এটাই প্রমাণ করে বাসিন্দারা হুমকিতে ভয় পান না।’’
এ বারের মেলায় নিরাপত্তার কড়াকড়ি আগের থেকে বেশি। প্রতিবার মন্দিরের সামনে দু’টি স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকে। এ বার নিরাপত্তা বেষ্টনি একধাপ বাড়ানো হয়েছে। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার সংখ্যাও বেড়েছে। আনা হয়েছে জঙ্গি দমনে প্রশিক্ষিত রাজ্য পুলিশের বিশেষ বাহিনী। প্রশাসন সূত্রের খবর অসমের গোয়েন্দা এজেন্সি যে সর্তকবার্তা পাঠিয়েছে তাতে কেএলও-এর ইঙ্গিত রয়েছে। যদিও পুলিশের তরফে কোনও হুমকির কথা স্বীকার না করা হলেও নিরাপত্তাতেও কোনও ফাঁক রাখা হয়নি। পুণ্যার্থীদের তল্লাশি চালানো হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার-সহ পুলিশের বড়কর্তারা রাত পর্যন্ত মেলা চত্বরে রয়েছেন।
শুক্রবার রাতে মেলায় আসেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও। মন্ত্রীরা এ দিন পুজোও দিয়েছেন জল্পেশে। পুজো দেন প্রাক্তন ফুটবলার পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়। মেলার উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মন্দির চত্বরে সৌন্দর্যায়ন এবং পরিকল্পনা উন্নয়নে এক কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেন সৌরভবাবু। এক সপ্তাহ মেলা চলবে। এ বারের মেলায় আটশোরও বেশি দোকান রয়েছে বলে মেলা কমিটি জানিয়েছেন।