— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার। মালদহের মানিকচকে এক বেসরকারি স্কুলের হস্টেল থেকে মিলেছিল ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। ছেলের ‘রহস্যমৃত্যু’র তদন্ত চেয়েছিল পরিবার। কিন্তু পাঁচ দিন কেটে গেলেও এখনও রহস্যের কোনও কিনারা হয়নি। তাই দোষীদের শাস্তির দাবিতে পাঁচ দিন ধরে বাড়িতেই ছেলের মৃতদেহ আগলে বসে রইল পরিবার!
গত বুধবার মানিকচকের এক স্কুলের আবাসন থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র শ্রীকান্ত মণ্ডলের (১৩) দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু পরিবারের দাবি, ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। তাই অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রের দেহ আপাতত বাড়িতেই বরফ দিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে। নিহত পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যদের দাবি, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে। ততক্ষণ পর্যন্ত ছেলের দেহ সৎকার করবেন না তাঁরা।
রবিবার ওই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছে সিপিএম ও বিজেপির প্রতিনিধি দল। বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক গৌরচন্দ্র মণ্ডলের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল দেখা করেন পরিবারের সঙ্গে। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেয় দু’দলই। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। গৌরচন্দ্রের কথায়, ‘‘ওই ছাত্রের বাড়ি ভূতনি এলাকায়। বরাবরই ভূতনির মানুষের পাশে থেকেছি। এই পরিবারের পাশেও থাকব। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই হবে।’’ অন্য দিকে, এলাকার সিপিএম নেতা দেবজ্যোতি সিংহ বলেন, ‘‘ছাত্রের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত চাই। পুলিশ কেন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না সেটাই সব চেয়ে বড় প্রশ্ন।’’
মানিকচক ব্লক অফিস সংলগ্ন ওই স্কুলের হস্টেলে অন্তত ৮০ জন পড়ুয়া থাকে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, প্রায়ই নানা অভিযোগে ওই ছাত্রের উপর নির্যাতন চালাতেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরিবারের দাবি, সে কারণেই মৃত্যু হয়েছে শ্রীকান্তের। আর সেটিকে আত্মহত্যার ঘটনা হিসাবে সাজানোর চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার পরিবারের তরফে মানিকচক থানায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই স্কুলের শিক্ষক ও পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।