Father allegedly killed Son

পুত্রকে ছুরি মেরে খুন করে বাড়িতে বসে রইলেন বাবা! সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে কোচবিহারে চাঞ্চল্য

মঙ্গলবার সকালে সম্পত্তি নিয়ে বাবা, ছেলের বিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ, ছুরি নিয়ে সোজা ছেলের বুকে বসিয়ে দেন বাবা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছেলের। তার পর বাড়িতেই বসেছিলেন অভিযুক্ত বাবা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৩১
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে বাবার হাতে খুন ছেলে! মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারে সিতাইয়ে। দীর্ঘ দিন ধরেই বাবা-ছেলের সম্পর্কের সুতোয় টান ধরেছিল। সম্পত্তি নিয়ে মাঝেমধ্যেই চলত ঝগড়া, অশান্তি। মঙ্গলবার সকালে সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা শুরু হতেই বাবা ছুরি বসিয়ে দেন ছেলের বুকে। পুলিশ অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

সিতাইয়ের ব্রহ্মত্রচাত্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্দরান শিঙিমারি গ্রামে বাড়ি চন্দ্রদেব রবিদাসের। ছেলে রামকৃষ্ণও একই বাড়িতে থাকতেন। সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে বাবার সঙ্গে নিত্যই গোলমাল লাগত ছেলের। মঙ্গলবার সকালেও তেমনই গোলমাল শুরু হয়। সেই সময় রাগের মাথায় ৪০ বছরের ছেলের বুকে ছুরি বসিয়ে দেন ৬৫ বছরের বাবা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রামকৃষ্ণের। ছেলেকে খুন করে বাড়িতেই ছিলেন চন্দ্রদেব। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে আশপাশের লোকজন পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে রামকৃষ্ণের নিথর দেহ উদ্ধার করে। আটক করা হয় বাবা চন্দ্রদেবকে। স্থানীয় বাসিন্দা হরেন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ‘‘বাবা, ছেলের ঝগড়া-অশান্তি তো হতেই পারে। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নেওয়া উচিত ছিল। এ ভাবে রাগের বশে এ রকম কাজ কেউ কখনও করে!’’

সিতাই থানার আইসি দেবদত্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশবাহিনী। উদ্ধার করা হয় দেহ। জেলার পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সকাল ৯টা নাগাদ চন্দ্রদেব রবিদাস তাঁর ছেলে রামকৃষ্ণ রবিদাসকে খুন করেন বলে জানতে পেরেছি। জানা গিয়েছে, সম্পত্তি নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে প্রতি দিনই ঝগড়া হত। আসামিকে আটক করা হয়েছে এবং অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।’’ রামকৃষ্ণের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন