জলপাইগুড়ির স্কুলে ভূতের আতঙ্ক, বাথরুমে ঢুকলেই দেখা মিলছে...

বাথরুমে ঢুকলে নাকি ভূতের হাতের ছাপ দেখা যায়। এক ছাত্রীর তেমনই অভিজ্ঞতা। আর এক ছাত্রী জানিয়েছে, চারটে লোক নাকি বাথরুমে তার গলা টিপতে এসেছিল! 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:২২
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাথরুমে ঢুকলে নাকি ভূতের হাতের ছাপ দেখা যায়। এক ছাত্রীর তেমনই অভিজ্ঞতা। আর এক ছাত্রী জানিয়েছে, চারটে লোক নাকি বাথরুমে তার গলা টিপতে এসেছিল!

Advertisement

এই সব ঘটনার কথা ডালপালা বিস্তার করে ভূতের ভয় তৈরি করেছে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের কোনকাপরি এলাকার স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে। শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরের বিবেকানন্দ হাইস্কুল। সেখানে এত দিন ভূত আর জিনের ভয়ে কাঁটা হয়েছিল ছাত্রছাত্রীরা। পরিবেশ এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে, কয়েক জনের পরিবার ওঝা, কবিরাজের কাছে পর্যন্ত যাওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেন। পড়াশোনা লাটে ওঠার জোগাড়।

এই পরিস্থিতি সামলাতে কুসংস্কার দূর করার লক্ষ্যে সচেতনতা শিবির করলেন মনরোগ বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞান মঞ্চের লোকজনেরা। হাজির ছিলেন মনরোগ বিশেষজ্ঞ স্বস্তিশোভন চৌধুরী, পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞান মঞ্চের জেলা সম্পাদক পার্থসারথি চক্রবর্তী-সহ অন্যরা।

Advertisement

ভূতের ভয় পেয়েছে এমন দুই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেন, স্বস্তিশোভনবাবু। এর পর তিনি সকলের উদ্দেশে বলেন, ‘‘বেশ কয়েক জন ছাত্রী এরা নাকি অদ্ভুত আচরণ করছে স্কুল ও বাড়িতে। তাদের দাবি, ভূতে ধরেছে। কিন্তু ভূত বা জিন, কিছুই নেই। টিভিতে ভূতের অনুষ্ঠান ও ভূত নিয়ে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আলোচনা করলে মনের মধ্যে এই বিষয়টি গেঁথে বসে।’’ বিজ্ঞানের যুগে এই সব কুসংস্কার থেকে বার হয়ে আসার কথাও বলেন তিনি। বাথরুমে ভূতের হাতের ছাপ পেয়েছে বলে দাবি করেছে কেউ কেউ। তাঁর কথায়, ওটা মানুষেরই হাতের ছাপ। এই ভাবে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের এদিন বুঝানো হয়। ভূতের ভয় তাড়াতে বিভিন্ন বুদ্ধিও দেন তিনি।

আরও পড়ুন:অবাধ অযোধ্যা: অধিগ্রহণ বৈধ, এ বার মূল মামলা​

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আলো সরকার বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলের ভূতের আতঙ্ক রয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে। এ দিনের এই অনুষ্ঠান থেকে ছাত্রীদের মন থেকে ভূতের ভয় দূর হবে বলে আমরা আশাবাদী।’’

এক অভিভাবক অজয়কুমার বর্মণ বলেন, ‘‘আজকে এই সচেনতামূলক শিবির সকলের কাজে লাগবে। আমরাও গ্রামে গ্রামে ভূত বলে কিছু নেই, এই কথাই সাধারণ মানুষকে বোঝাব।’’ স্কুলের ছাত্রী দীপালি রায় বলেন, ‘‘আমি এত দিন খুবই ভয় পেতাম। আজকে সেমিনার থেকে বুঝতে পারলাম এটা আমাদের মনের ভয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন