রোদ উঠলেও পুজোয় বৃষ্টির আভাস

জেলার মৃৎশিল্পী মহল্লা থেকে ব্যবসায়ী মহলেও আবহাওয়ার বদলে যাওয়া ছবি দেখে অনাবিল এক খুশির ছাপ। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অবশ্য বলছে, আজ রবিবার কোচবিহারের আকাশ খানিকটা মেঘলা থাকার সম্ভবনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:৪৯
Share:

আকাশের গুমোট ভাব কাটল। চতুর্থীর সকাল থেকেই রোদ ঝলমল কোচবিহার। আবহাওয়ার ওই পরিবর্তন দেখে এদিন সাময়িক চিন্তার ভাঁজ কমেছে উদ্যোক্তাদের অনেকটাই। শেষমূহূর্তে বাজিমাৎ করতে তাই চেষ্টার খামতি রাখতে রাজি নয় কোনও কমিটি। তাই শনিবার দিনভর সেই কাজের তোড়জোড় চলল।

Advertisement

জেলার মৃৎশিল্পী মহল্লা থেকে ব্যবসায়ী মহলেও আবহাওয়ার বদলে যাওয়া ছবি দেখে অনাবিল এক খুশির ছাপ। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অবশ্য বলছে, আজ রবিবার কোচবিহারের আকাশ খানিকটা মেঘলা থাকার সম্ভবনা। হতে পারে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিও। তাই রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া কাজে লাগাতে খামতি রাখেননি কমিটির উদ্যোক্তা থেকে সাধারণ মানুষ কেউই। দেওয়াথোয়ার পুজোয় যাঁর যেটুকু কেনা বাকি ছিল তা কিনতে বাজারে ভিড় জমান ক্রেতারা। আর উদ্যোক্তারা, মণ্ডপ আর চারপাশের পরিবেশ ফুটিয়ে তুলতে, সারাদিন মাথায় ঘাম পায়ে ফেললেন।

উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ কৃষি মৌসম সেবাকেন্দ্র সূত্রের খবর, পুজোর সময় কোচবিহার শুধু নয়, উত্তর দিনাজপুর ও জলপাইগুড়িতেও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকছে। রবিবার পঞ্চমীতে কোচবিহারে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। পরের দিন ১৫ তারিখের জন্যও একই পূর্বাভাস আছে। সপ্তমীতে ১৬ অক্টোবর অবশ্য বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা নেই। তবে ১৭ অক্টোবর ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় ১৪ অক্টোবর বিক্ষিপ্ত, ১৫-১৬ অক্টোবর মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। ১৭ অক্টোবর ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা নেই। উত্তর দিনাজপুরে ১৪ অক্টোবর হাল্কা বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে ১৫-১৭ অক্টোবর ওই জেলায় বৃষ্টির সম্ভবনা নেই। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সেবাকেন্দ্রের নোডাল অফিসার শুভেন্দু বন্দোপাধ্যায় বলেন তিতলি দুর্বল হওয়ার পর আরও একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে। যার জেরে পুজোর সময় উত্তরের কিছু এলাকায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সবমিলিয়ে তাই পুজোয় বৃষ্টির কাঁটা, এ বছরও কিছুটা থাকছেই।

Advertisement

হাজরাপাড়া তরুণ দলের সদস্য রাজীব পাল বলেন, “দু’দিনের খারাপ আবহাওয়ায় একটু সমস্যা হল। তবে এ দিন রোদ উঠতেই বাড়তি শ্রমিক দিয়ে মন্ডপের বাকি কাজ করা হল।”

মৃৎশিল্পী সুজিত পাল বলেন, “আকাশ খারাপ হলে আমাদের চিন্তা বেড়ে যায়, রোদে চিন্তা কমে। প্রতিমার কাজ প্রায় শেষের দিকে। সবই মণ্ডপে চলে গিয়েছে। কিছু আছে, সেগুলো তো আজই শেষ করতে হবে। তাই রোদ ওঠায় সুবিধেই হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন