ইংরেজবাজার

বিরোধী মহিলা কাউন্সিলরকে গালাগালি, অভিযুক্ত কৃষ্ণেন্দু

ফের বিতর্কে প্রাক্তন মন্ত্রী। এ বার পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে মহিলা কাউন্সিলরকে গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠল ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৬ ০২:৪৬
Share:

ফের বিতর্কে প্রাক্তন মন্ত্রী। এ বার পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে মহিলা কাউন্সিলরকে গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠল ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। বাম সমর্থিত ওই নির্দল কাউন্সিলর গায়ত্রী ঘোষের আরও অভিযোগ, কৃষ্ণেন্দুবাবু তাঁকে মারতেও গিয়েছিলেন। গায়ত্রীদেবীর স্বামী, ইংরেজবাজারের নির্দল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের কাছেই তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণেন্দুবাবু এ বার বিধানসভা ভোটে পরাজিত হয়েছেন। কৃষ্ণেন্দুবাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

এ দিন পুরসভায় ভাতা ইস্যুতে মাসিক বোর্ড মিটিং ছিল। গায়ত্রীদেবীর অভিযোগ, ‘‘আমার ওয়ার্ডে বহু উপভোক্তা ভাতা না পেয়ে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। তাই তাঁদের ভাতা দ্রুত দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করি। তখনই চেয়ারম্যান মেজাজ হারিয়ে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে তেড়ে মারতে আসেন। অন্য কাউন্সিলরেরা বাধা দেওয়ায় আমি রক্ষা পেয়েছি।’’ এ দিকে, বিরোধীদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভদ্র আচরণ করার অভিযোগ তুলেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। শান্তিপূর্ণ ভাবেই মাসিক বোর্ড মিটিং চলছিল। আচমকা ওই কাউন্সিলর আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করেন।’’ এমনকী, তাঁকে তুই বলেও সম্বোধন করা হয়েছে বলে দাবি করেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত বিরোধী কাউন্সিলরেরা মিটিং বয়কট করে বাইরে বেরিয়ে আসেন। চেয়ারম্যানের আচরণের প্রতিবাদে তুলে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বাম নেতৃত্ব। মাস ছয়েক আগেই জমির পাট্টা বিলির অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে বিবাদে জড়িয়েছিলেন রাজ্যের দুই প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্র।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯টি ওয়ার্ডে প্রায় ২০ হাজার উপভোক্তা বিধবা, বার্ধক্য এবং প্রতিবন্ধী ভাতা পান। পুরসভা থেকে উপভোক্তাদের ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়া হয়। গত অক্টোবর মাস থেকেই উপভোক্তারা সরকারি ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নিয়ে পুরসভা ঘেরাও করে আন্দোলনও করেছিলেন বিরোধী কাউন্সিলরেরা। পুরসভার তরফ থেকে জানানো হয় লাইভ সার্টিফিকেট পুরসভায় জমা করার পরই ভাতা দেওয়া হবে। পুরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, বিগত দিনে বহু অনিয়ম হয়েছে। অনেক উপভোক্তা মৃত্যুর পরেও তাঁদের নামে ভাতা তুলে নেওয়া হচ্ছে। তা রুখতেই এমন সিদ্ধান্ত। তবে বিরোধীরা অভিযোগ তোলেন, পুরসভার ১০টি ওয়ার্ডে লাইভ সার্টিফিকেট দেওয়ার নামে রাজনীতি করছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু।

Advertisement

এ দিন বেলা দুটো থেকে বোর্ড মিটিং শুরু হতেই ভাতা নিয়ে তুমুল হই-হট্টগোল শুরু করে দেন বিরোধী কাউন্সিলরেরা। তখনই চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বাবুর সঙ্গে বৈঠকে জড়িয়ে পড়েন গায়ত্রীদেবী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন