কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে ইঞ্জিনে আগুন, আতঙ্ক

ইঞ্জিনে আগুন লাগায় ব্যাহত হল কলকাতাগামী আপ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের যাত্রা। বৃহস্পতিবার রাতে নিউ মাল জংশন থেকে ট্রেন ছাড়ার অল্প পরেই ট্রেনের চালক ইঞ্জিনের গিয়ার-বক্সে আগুন জ্বলতে দেখেন। বাগরাকোটের কাছে ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে খবর দেওয়া হয় দমকলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালবাজার শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:২৫
Share:

ব্যস্ত: আগুন নেভানোর চেষ্টায় দমকলকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

ইঞ্জিনে আগুন লাগায় ব্যাহত হল কলকাতাগামী আপ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের যাত্রা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে নিউ মাল জংশন থেকে ট্রেন ছাড়ার অল্প পরেই ট্রেনের চালক ইঞ্জিনের গিয়ার-বক্সে আগুন জ্বলতে দেখেন। বাগরাকোটের কাছে ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে খবর দেওয়া হয় দমকলে। মালবাজার দমকল কেন্দ্র থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়। এই ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এ দিন বিকেল চারটে নাগাদ আলিপুরদুয়ার থেকে ছাড়ার পর সাড়ে ছ’টা নাগাদ ডুয়ার্সের নিউ মাল জংশনে আসে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। এই স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার পরেই ইঞ্জিনে আগুন দেখতে পান চালক। নিউ মাল ও সেবক স্টেশনের মাঝখানে বাগরাকোট স্টেশনে মূল ট্রেন থেকে ইঞ্জিনটিকে বিচ্ছিন্ন করে আগুন নেভায় মালবাজার থেকে আসা দমকলের দু’টি ইঞ্জিন।

Advertisement

মালবাজার পুরসভার কাউন্সিলর মহুয়ারানি ঘোষ এ দিন কলকাতা যাওয়ার জন্যে কাঞ্চনকন্যাতে উঠেছিলেন। আগুন লেগে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ার পর তিনিও অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে ট্রেন থেকে নেমে আসেন। তিনি বলেন, ‘‘বাগরাকোটে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের কোনও স্টপেজ ছিল না। এখানে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ার পরেই শুনতে পাই আগুন লেগেছে। অন্য যাত্রীদের সঙ্গে আতঙ্কে ট্রেন থেকে নেমে আসি।’’

একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী কৌশিক বসু বলেন, ‘‘বহুবার নানা কাজে ডুয়ার্সে এসেছি। কিন্তু এই ধরণের অভিজ্ঞতা এই প্রথম।’’

তবে দ্রুত পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হয়েছে বলে দাবি করেন আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম সঞ্জীব কিশোর। তিনি বলেন, ‘‘লোকোমোটিভ গিয়ারে আগুন লেগেছিল। দ্রুত আগুন নেভানো হয়েছে।’’

এই রেলপথ গিয়েছে পাহাড়-জঙ্গলের মধ্য দিয়ে। বাগরাকোট স্টেশনের পরেই রেলপথ ঘিরে রয়েছে সেবক পাহাড় ও মহানন্দার অভয়ারণ্যের গভীর জঙ্গল। তাই বাগরাকোট স্টেশন পার হওয়ার পরে যদি এমন আগুন লাগত তবে তা নেভাতে দমকলকে বেশ বেগ পেতে হত বলে মনে করেছেন রেলের আধিকারিকরাই। কারণ দমকলের ইঞ্জিন সেই গভীর জঙ্গলে পৌঁছতেই সমস্যা হত।

নিউ মাল জংশন থেকে মালগাড়ির ইঞ্জিন এনে ট্রেনটিকে কলকাতা পাঠাতে উদ্যোগী হয় রেল কর্তৃপক্ষ। তবে গভীর রাত পর্যন্ত ট্রেনটি বাগরাকোট স্টেশনেই দাঁড়িয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন