Fire

আবার আগুন শহরে, শিলিগুড়ি কি ‘জতুগৃহ’

একটি গুদামে আগুন লেগে পুড়ে গেল কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৪২
Share:

লড়াই: গুদামের আগুন নেভাতে লড়াই দমকল কর্মীদের। ছবি: স্বরূপ সরকার

ফের আগুন শিলিগুড়ি শহরে। এ বার একটি গুদামে আগুন লেগে পুড়ে গেল কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী। বুধবার সকালের ঘটনা। সেবক রোড চেকপোস্টে একটি বড় মলের উল্টোদিকে দেওয়াল ঘেরা গুদাম রয়েছে। সেখানেই লেগেছিল আগুন। দমকলের ৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় সাড়ে নয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে দমকলের তরফে জানান হয়েছে ওই গুদামের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। কারণ প্রাথমিকভাবে ওই এলাকায় কোনও হাইড্র্যান্ট বা মাটির নীচে কোনও জলাধারের অস্তিত্ব মেলেনি। মালিকপক্ষকে নোটিস পাঠানো হচ্ছে বলে দমকল সূত্রের খবর।

Advertisement

পুলিশ এবং দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে, সেবক রোড এবং ইস্টার্ন বাইপাসের মধ্যে দেওয়াল ঘেরা বেশ কয়েক বিঘা জমিতে রয়েছে ওই গুদামটি। গৃহস্থালীর সামগ্রী রাখা হতো ওই গুদামে। এ দিন সেখানে ধোঁয়া দেখতে পেয়ে দমকল ও পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে একে একে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। গুদামের মূল দরজা দিয়ে এত ধোঁয়া বের হচ্ছিল যে বেশ কিছুক্ষণ সেখানে ঢুকতেই পারেননি দমকলকর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বর্গফুটের গুদামটিতে। যন্ত্র এনে দেওয়াল ভাঙা হয়। ধোঁয়া কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে গুদামের ভিতরে ঢোকেন দমকল কর্মীরা। এ দিন ঘটনাস্থলে এসেছিলেন শিলিগুড়ি দমকল ডিভিশনের ম্যানেজার আশিস পুততুণ্ড। তিনি বলেন, ‘‘কী ভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ঠিক রয়েছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত করে দেখা হবে।’’

দেওয়ালঘেরা ওই প্রাঙ্গণটি বাবুলাল আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তির। আগে সেখানে বিভিন্ন জিনিসের একাধিক গুদাম ছিল। তার মধ্যে রঙের এবং গ্যাসের গুদামও ছিল। সম্প্রতি অনেকগুলি সেখান থেকে সরে গিয়েছে। এখন মার্বেল, টাইলস এবং গৃহস্থালি সামগ্রীর গুদামগুলি রয়েছে। গৃহস্থালী সামগ্রীর গুদামটি ভাড়ায় নিয়ে চালাচ্ছিলেন সুনীল মাস্কারা নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘‘অনেক টাকার সামগ্রী পুড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কী ভাবে এই ক্ষতিপূরণ হবে জানি না।’’

Advertisement

কী ভাবে আগুন লাগল? দমকলকর্মীদের দাবি, প্রাথমিকভাবে শর্টসার্কিটকেই সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে গুদামের ভিতরে কেউ জ্বলন্ত বিড়ি বা সিগারেট ফেলেছিল কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হবে। আগুন নেভানোর কাজ পুরোপুরি শেষ হলে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার গাফিলতি নিয়ে সমীক্ষা করার কথা দমকল আধিকারিকদের। গুদাম যে জমিটিতে তার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন