কান কামড়ে ধৃত ৫

গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের কান কামড়ে ছিড়ে নেওয়ার ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। সোমবার ধৃতদের আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:১৮
Share:

আহত করণ কুজুর।

গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের কান কামড়ে ছিড়ে নেওয়ার ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। সোমবার ধৃতদের আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছেন।

Advertisement

রবিবার মাঝেরডাবরি চা বাগানের ১৩ জন শিশু-কিশোরকে নিয়ে নোনাই নদীর ধারে পিকনিকে গিয়েছিলেন তৃণমূলের মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য করন কুজুর। তাঁর সঙ্গে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সুপারভাইজার সঞ্জীব ওঁরাও সহ আরও দু’জন ছিলেন। অভিযোগ, বিকেলের দিকে স্থানীয় চেচাখাতা ঘোষপাড়া সংস্কার সমিতি ক্লাবের কয়েকজন সদস্য এসে গাঁজা খাওয়ার জন্য আগুন চায়। তাঁরা একটি দেশলাই এগিয়েও দেন। কিন্তু ওই ক্লাব সদস্যরা জ্বলন্ত উনুন থেকে আগুন নিতে চান। পঞ্চায়েত সদস্য তাতে বাধা দেন।

অভিযোগ, এরপরই ওই ক্লাব থেকে দশ-বারো জন ছুটে এসে করণ ও সঞ্জীবকে বাঁশ ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারতে শুরু করে। কামড়ে করণের একটি কান ছিড়ে ফেলে তারা। গুরুতর জখম অবস্থায় করণকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সঞ্জীবকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। কিন্তু তাঁর আগেই ক্লাবটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।

Advertisement

এরপর অভিযুক্তদের ধরতে রাতেই তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল, সুমন ঘোষ, মিঠুন ঘোষ, সমীর ঘোষ, অজয় ঘোষ ও প্রসেঞ্জিৎ ঘোষ। আলিপুরদুয়ার থানার আইসি জয়দেব ঘোষ জানিয়েছেন, “ধৃতরা প্রত্যেকেই ওই ক্লাবের সদস্য। ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

রবিবার ঘটনার পরই তৃণমূলের আক্রান্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য অভিযোগ তুলেছিলেন, আক্রমণকারীরা প্রত্যেকেই বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতী। যদিও বিজেপি তা অস্বীকার করে। এ দিন বিজেপির জেলা সাধরণ সম্পাদক জয়ন্ত রায় বলেন, “ধৃতদের সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। তারা প্রত্যেকেই তৃণমূলের।” যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বিজেপির এই দাবি মানেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement