আলফা, কেএলও এবং আলোচনাবিরোধী এনডিএফবি সহ অসমের ৫টি জঙ্গি সংগঠন স্বাধীনতা দিবসের দিন সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। রবিবার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত সাধারণ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি ওই জঙ্গি সংগঠনগুলি নাশকতা ছড়ানোরও হুমকি দিয়েছে। এ ছাড়াও, এ বার নতুন নাশকতার হুমকি এসেছে জেহাদি সংগঠন এবং জেএমবি ও লস্কর-ই-তৈবা এবং হুজি নামের মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনের পক্ষ থেকে। অসম পুলিশের ডি জি মুকেশ সহায় জানিয়েছেন, “আলফা, কেএলও এবং আলোচনাবিরোধী এনডিএফবি সহ অসমের ৫টি জঙ্গি সংগঠনের নাশকতা ছড়ানোর হুমকি তো আছেই, এ বার জেহাদি সংগঠন জঙ্গিরাও স্বাধীনতা দিবসে এ রাজ্যে নাশকতার পরিকল্পনা করেছে বলে গোয়েন্দা সুত্রে জানতে পেরেছি। সারা অসম জুড়ে হাই এলার্ট জারি করা হয়ছে। নাশকতা রোধের জন্য অসম জুড়ে প্রশাসন প্রখর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।”
ধুবুরি এবং কোকরাঝাড় জেলাতে নাশকতা রোধের জন্য দুই জেলার পুলিশ প্রশাসন প্রখর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ প্রশাসন। এ ছাড়া স্বাধীনতা দিবসে নাশকতা ছড়াতে কেএলও এবং এনডিএফবি (সংবিজিত) জঙ্গিরা ধুবুরি ও কোকরাঝাড় জেলায় নাশকতার ছক কষেছে—গোয়েন্দা সুত্রে এ খবর নড়েচড়ে বসেছে দু’জেলার পুলিশ। কেএলও জঙ্গিদের ধরার জন্য অসমের ওই দুই জেলাকে নিরাপত্তার লৌহবলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসে সন্ত্রাসবাদীদের লক্ষ্য জনবহুল এলাকা। যেমন বাজার, বাসস্ট্যান্ড, অফিস-আদালত চত্বর ইত্যাদি। সন্ত্রাসবাদীরা যাতে ধুবুরি জেলাতে নাশকতা ঘটাতে না পারে, সে জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি জেলার গৌরীপুর, গোলকগগঞ্জ, আগমনী, ছাগলিয়া, বগরিবাড়ি, বিলাসীপাড়া ইত্যাদি এলাকার বাজার এবং জনবহুল এলাকায় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। জেলা পুলিশের পাশাপাশি সিআরপিএফ এবং সেনা জওয়ানরাও তল্লাশি চালিয়েছেন। জেলায় চলাচল করা সমস্ত রকমের যাত্রীবাহী বাস, তিন চাকার যানের পাশাপাশি মোটর সাইকেল, রিকশাতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশ এবং সিআরপিএফ এর জওয়ানরা।