বাউল: তপন পণ্ডিত। নিজস্ব চিত্র
শহর হোক কিংবা গ্রাম। ডেঙ্গি, জ্বরের আতঙ্কে কাঁপছে মালদহ। এমনকী, ঘটছে প্রাণহানিও। আর সেই ডেঙ্গি নিয়ে গান বাধলেন মালদহের বাউল শিল্পী তপন পণ্ডিত। ইতিমধ্যে ডেঙ্গি নিয়ে তাঁর গাওয়া সচেতনতামূলক বাউল গান সাড়া ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু সেখানেই নয়, সর্বত্রই সেই গান ছড়িয়ে দিতে চান তপনবাবু। সেই সঙ্গে তাঁর গানকে সাধারণ মনুষের সচেতনতার জন্য হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চলেছে ইংরেজবাজার পুরসভাও।
ডেঙ্গি নিয়ে কেন গান বাধলেন? তপন বাবু বলেন, “ডেঙ্গি, জ্বর জেলা সহ সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন প্রচার করা হচ্ছে। তাই আমিও নিজেই ডেঙ্গি, জ্বরের বাস্তব চিত্র নিয়ে একটি গান লিখেছি। সুর দিয়ে সেই গান গেয়েছি। প্রাথমিক ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া হয়েছে।” তবে সমাজের বিভিন্ন স্তরে ডেঙ্গির গান সর্বত্রই ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। ইংরেজবাজার শহরের নিউ বাঁশবাড়ির বাসিন্দা তপনবাবু। বাবা রামানন্দ পণ্ডিতের কাছেই ১২ বছর বয়স থেকেই সঙ্গীত জগতে হাতেখড়ি। রামকেলি মেলায় বাউল শিল্পীদের গান শুনে, বাউলের প্রতি ভালোবাসা জন্মায় তাঁর। তারপর থেকেই তাঁর শুরু হয় বাউল গান গাওয়া। জেলার বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি অনুষ্ঠানে নিয়মিত গান গান তিনি। শুধু জেলা কিংবা রাজ্য নয়, মালয়শিয়া, সিঙ্গাপুরের মতো দেশেও বাউল গান গেয়ে এসেছেন মালদহের এই শিল্পী। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ডেঙ্গি নিয়ে তাঁর গাওয়া গান শোরগোল ফেলে দিয়েছে জেলায়।
মশারি টাঙাও, মশা তাড়াও দিয়ে গান শুরু হয়েছে তাঁর। আর শেষ হয়েছে জ্বর, ডেঙ্গিতে প্রাণহানি দিয়ে। তপন বাবু বলেন, “মশারি টাঙিয়ে শয়ন, জল জমতে না দেওয়ার বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে জ্বর হলে শুধুমাত্র হাসপাতালে গিয়ে রক্ত পরীক্ষার বিষয় আমি তুলে ধরেছি।” পুরসভার উপ পুরপ্রধান দুলাল সরকার বলেন, “শহর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা থেকে শুরু করে কীটনাশক তেল স্প্রে, কামান নিয়মিত দাগা হচ্ছে। প্রয়োজনে তপন বাবুর গাওয়া বাউল গানও মানুষকে সচেতনতার কাজে ব্যবহার করব।”