প্রতীকী ছবি।
ডুয়ার্সের দক্ষিণ খয়েরবাড়ি উদ্ধার কেন্দ্রে বন্যপ্রাণীদের ‘এনক্লোজ়ারের’ সংখ্যা কমাতে চাইছে বন দফতর।
বন প্রশাসন সূত্রের খবর, সেখানে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বন্যপ্রাণীদের বসবাসের জন্য ১০টি এনক্লোজার রয়েছে। ওই সংখ্যা কমিয়ে ৬টি করার কথা ভাবা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বন্যপ্রাণীদের অপেক্ষাকৃত ছোট খাঁচা বা ঘেরাটোপে রাখার ব্যাপারে আপত্তি জানানোর জেরেই ওই তোড়জোড় বলে বন দফতর সূত্রে খবর। বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “বন্যপ্রাণীদের থাকার জন্য এনক্লোজ়ারের এলাকা বাড়াতে বলেছে কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তার জেরেই এই কথা ভাবা হচ্ছে।”
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যাপারে বনকর্তাদের ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরির ব্যাপারেও নির্দেশ দিয়েছেন বনমন্ত্রী। দক্ষিণ খয়েরবাড়ির আকর্ষণ বাড়াতেও একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে চিতাবাঘ সাফারির বিষয়টিতে বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। কোচবিহার বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনেই প্রজেক্ট তৈরি-সহ সব ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে।”
পরিবেশপ্রেমীদের একাংশের অবশ্য অভিযোগ, দক্ষিণ খয়েরবাড়ির বন্যপ্রাণী ডেরার তারজালির ঘেরাটোপ দীর্ঘদিনের পুরানো।অনেক দিন পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হয়নি। তাই এমন পদক্ষেপ সত্যি জরুরি ছিল।
বন দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, দক্ষিণ খয়েরবাড়ির উদ্ধার কেন্দ্রে এখন ১১টি চিতাবাঘ ও ১টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে। পরিকাঠামোর খোলনলচে বদল হলে অন্য বন্যপ্রাণী রাখার সুযোগও হবে।