Wood Smuggling

Cooch Behar: কাঠ পাচার রুখতে গিয়ে ‘হামলায়’ জখম বনকর্মীরা

ওই ঘটনায় কোচবিহার জেলার পুলিশকর্তাদের কাছে দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

Advertisement

সঞ্জীব সরকার, হিতৈষী দেবনাথ

শামুকতলা, তুফানগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২২ ০৮:৫৭
Share:

হাসপাতালে আহত এক বনকর্মী। নিজস্ব চিত্র

জঙ্গলে লুকিয়ে ‘কাঠ কেটে’ পিক-আপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল পাচারকারীরা। দেখতে পেয়ে বন দফতরের টহলদার গাড়ি সেটির পিছনে ধাওয়া করে। অভিযোগ, মাঝরাস্তায় আচমকা বন দফতরের ওই গাড়ির পথ আটকে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতী-দল। মারধর করা হয় বনকর্মীদের। বুধবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বাঁশতলা এলাকায়। বন দফতরের গাড়ির চালক পরিতোষ দাস ওই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন। আরও তিন বনকর্মী আহত হন। কাঠ-বোঝাই গাড়িটি ওই ফাঁকে পালিয়ে যায়। অভিযোগ, কয়েক জন দুষ্কৃতী বনকর্মীদের গাড়ির উপরে হামলা চালিয়ে পাচারকারীদের গাড়ি পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।

Advertisement

ওই ঘটনায় কোচবিহার জেলার পুলিশকর্তাদের কাছে দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকেও ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন বলে দাবি। বনমন্ত্রী বলেন, ‘‘এক জনও ছাড় পাবে না। বনকর্মীদের উপরে হামলা যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘রাতে ওই ঘটনা ঘটেছে। কারা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল, তা দেখা হচ্ছে।’’ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেন, ‘‘ চোরাই কাঠ বোঝাই একটি গাড়ির পিছনে তাড়া করেছিলেন বনকর্মীরা। গাড়িটি কোচবিহার সীমানায় ঢুকে গেলে, ২৫-৩০ জন আচমকা বনকর্মীদের গাড়িটিকে আটকায়। গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি, লাঠি নিয়ে বনকর্মীদের উপরে হামলা হয়। পাথরও ছোড়া হয়।’’ তিনি জানান, হামলায় চার কর্মী জখম হন। এক অস্থায়ী কর্মী গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন। বক্সিরহাট থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতিপোতার দিক থেকে ‘চোরাই’ কাঠ-বোঝাই গাড়িটি শামুকতলা হয়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে উঠে যায়। রাস্তায় গাড়িটি আটকানোর চেষ্টা করেও বিফল হন বনকর্মীরা। ভাটিবাড়ি হয়ে গাড়িটি তুফানগঞ্জের বাঁশতলায় পৌঁছয়। সে সময় ‘হামলা’ চালানো হয় বলে অভিযোগ। কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা অবশ্য দাবি করেন, তাঁদের গ্রামের রাস্তা দিয়ে দু’টি গাড়ি প্রচন্ড গতিতে কয়েক বার ঘোরাফেরা করে। সে সময় তাঁরা দু’টি গাড়িকেই আটকানোর চেষ্টা করেন। একটি গাড়ি পালিয়ে গেলেও, অন্যটিকে আটকে দেওয়া হয়। ওই গাড়িতে যে বনকর্মীরা ছিলেন তা তাঁরা বুঝতে পারেননি। বন দফতর অবশ্য ওই যুক্তি মানতে নারাজ। বন আধিকারিকদের দাবি, চোরাই কাঠ-বোঝাই গাড়িটিকে পালাতে সাহায্য করতেই বন দফতরের গাড়িতে ‘হামলা’ চালানো হয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন