দলত্যাগী: কংগ্রেসের একটি মিছিলে জোসেফ। ফাইল চিত্র
বিরোধী একাধিক বিধায়ক দল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমুলে। এ বার সেই দলে ডুয়ার্সের চা বলয়ের দক্ষ সংগঠক বলে পরিচিত নাগরাকাটার প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক জোসেফ মুন্ডা। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি তিনি চূড়ান্ত করে ফেলেছেন বলে শনিবার জানিয়েছেন।
এ দিন জোসেফ মুন্ডা বলেন, ‘‘মাস কয়েক আগে উত্তরবঙ্গ সফর শেষ করে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমানে কলকাতা ফিরছিলেন তখন সহযাত্রী ছিলাম। তখনই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়।’’
তিনি জানান, আজ রবিবারই ২২ জন প্রতিনিধিকে নিয়ে তিনি কলকাতায় যাচ্ছেন। সেখানে ২৮ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করে যোগদানের বিষয়টি চুড়ান্ত করবেন। ডুয়ার্সের কোনও জায়গাতেই সভা করে তৃণমূলে যোগ দিতে চান। জোশেফের দাবি, কংগ্রেস কর্মীরা ছাড়াও সিপিএম ও বিজেপির বহু কর্মী, নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য, কাউন্সিলর ও ট্রেড ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরাও তৃণমূলে যোগ দেবেন।
মালবাজার মহকুমার জুরন্তি চা বাগানে কর্মী জোশেফ কংগ্রেসে যোগ দেন ১৯৯২ সালে। পনেরো বছর মেটেলির ইংডং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। ওই সময় প্রধান ও উপপ্রধানের দায়িত্বও সামলেছেন। ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব প্ল্যান্টেশন ওয়ার্কাসের সম্পাদকও ছিলেন। ওই চা শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির পদে আছেন এখনও। রাজ্যে কংগ্রেসের তফসিলি উপজাতি সেলের চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন। তিনি জানান, সব পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।
গত লোকসভা নির্বাচনে তাঁর হয়ে প্রচারে এসেছিলেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘‘দু’দিন আগেই জোসেফ এর সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি জানান, কলকাতাতে ডুয়ার্সের উন্নয়নের কিছু দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। সে গুলি মেনে নিলে তবেই দল ছাড়ার বিষয় ভাববেন।’’
তবে তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে তৃণমুলের একটি অংশেও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জোসেফ মুন্ডার তৃণমুলে যোগদান তাঁরা কোনও ভাবেই মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন।