শান্তির বার্তায় চোপড়ায় করিম

ভোটের পরেও গোলমাল চলতে থাকায় আতঙ্ক কাটেনি। শান্তির ফেরাতে চোপড়ার প্রত্যন্ত এলাকায় ঘুরে সাহস জোগানোর চেষ্টা করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। শনিবার লক্ষ্মীপুর, দাসপাড়ার গোলমালপ্রবণ এলাকায় একাই যান তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৮ ০১:৪৮
Share:

আশ্বাস: গ্রামবাসীদের সঙ্গে করিম। নিজস্ব চিত্র

ভোটের পরেও গোলমাল চলতে থাকায় আতঙ্ক কাটেনি। শান্তির ফেরাতে চোপড়ার প্রত্যন্ত এলাকায় ঘুরে সাহস জোগানোর চেষ্টা করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। শনিবার লক্ষ্মীপুর, দাসপাড়ার গোলমালপ্রবণ এলাকায় একাই যান তিনি। প্রাক্তন মন্ত্রীকে পেয়ে অভিযোগ তুলে ধরেন বাসিন্দারাও। তাঁদের অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিত পাঠাবেন বলেই জানান প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বাংলা বিকাশবাদী কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল করিম চৌধুরী।

Advertisement

নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে বারবারই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চোপড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। নির্বাচনের দিনও ব্যাপক গন্ডগোল ছড়ায়। গণনার দিনও এলাকায় বিরোধীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। নির্বাচনের পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও দু’জন। একজনের চোখে গুলি করা হয়েছে। এক জনের হাত কেটে ফেলা হয়েছে। প্রতিটি গন্ডগোলেই এলাকাতে যথেচ্ছ গুলি-বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে।

এ দিন লক্ষ্মীপুরের যাত্রাগছে যান করিম। তাঁকে দেখে ছুটে যান অনেকেই। অভিযোগ করেন, গণনাকেন্দ্রে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দা ও বিরোধীদের অভিযোগ, দিনে শাসকদলের লোকেরা এলাকাতে অত্যাচার চালাচ্ছে। রাতে পুলিশ গ্রেফতার করার জন্য বাড়ি বাড়ি ঢুকছে।

Advertisement

এর পরে প্রাক্তন মন্ত্রী লক্ষ্মীপুরের ডাঙাপাড়ায় যান। ২২ মে গুলিতে আহত মহম্মদ জাহাঙ্গির ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত আবদুল রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে চাপড়ামারির গুলিতে নিহত সামিরুল ইসলামের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করেন।

করিম বলেন, ‘‘জীবনে এমন নির্বাচন দেখিনি। সব ঘুরে দেখছি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত পাঠাব। দুষ্কৃতীদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারছে না।’’ এলাকার কলেজ ছাত্রী ইয়াসমিন বেগম, মাম্পি খাতুনদের কথায়, ‘‘কলেজে পর্যন্ত যেতে ভয় লাগছে। ফের গন্ডগোল হলে বাড়ি ফিরতে পারব তো!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন