একাধিক নার্সিংহোম ও প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবোরেটরির একাংশ অবৈধ ভাবেই চলছে বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল লাগোয়া এলাকা এবং শহরের বিভিন্ন জায়গায় ক্লিনিক এবং একাধিক নার্সিংহোম তাই নজরদারি শুরু করেছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার নথিপত্র পরীক্ষা করতে নেমে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া এলাকায় চারটি অবৈধ ক্লিনিকের হদিশ পেয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ এবং প্রশাসনের কর্তারা। শুক্রবার সেগুলিকে বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে। শহরের অন্য এলাকাতেও দ্রুত ওই সমস্ত সন্দেহভাজন নার্সিংহোম এবং ক্লিনিকগুলোর নথিপত্র পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়। দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত বিশ্বাস জানান, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের কাছাকাছি কয়েকটি নার্সিংহোম অবৈধ ভাবে চলছে বলে খবর এসেছে। তিনি বলেন, ‘‘মেডিক্যাল লাগোয়া এলাকায় চারটি প্যাথোলজিক্যাল ক্লিনিকের নথি না-থাকায় এ দিন থেকেই সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।’’
শিলিগুড়ির চম্পাসারি এলাকা-সহ শহরের কয়েকটি জায়গায় অবৈধ ভাবে নার্সিংহোম চলছে বলে অভিযোগ। মহকুমাশাসক পানিক্কর হরিশঙ্করের দফতরেও খবর পৌঁছেছে শহরের কয়েকটি নার্সিংহোম বৈধ নথিপত্র ছাড়াই চলছে বলে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দ্রুত ওই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। স্বাস্থ্য দফতরকে নিয়ে যৌথ ভাবেই অভিযান চলবে। বৈধ নথিপত্র না-থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ নার্সিংহোমগুলির একাংশের বিরুদ্ধে লোক ঠকানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ তোলার পর অনেক ক্ষেত্রেই কর্তৃপক্ষ সতর্ক হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতেও শিলিগুড়ির একাংশ নার্সিংহোমগুলিতে বিভিন্ন পরিষেবা পেতে খরচের তালিকা টাঙানো হয়নি। বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মাস খানেক আগে বৈঠক করে নার্সিংহোমগুলিকে তালিকা টাঙাতে বলা হয়েছিল।