ইঁদুর জব্দ শেয়ালে?

ইঁদুর তাড়াতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভরসা ‘ফক্স ইউরিন’ অর্থাৎ শেয়ালের মূত্র। তার গন্ধেই না কি ইঁদুর পালায়। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে ইঁদুরের উপদ্রব হলেও তাদের মারা যাবে না। তাই ইঁদুর তাড়ানোর উপায় খুঁজতে হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৪৫
Share:

ইঁদুর তাড়াতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভরসা ‘ফক্স ইউরিন’ অর্থাৎ শেয়ালের মূত্র। তার গন্ধেই না কি ইঁদুর পালায়। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে ইঁদুরের উপদ্রব হলেও তাদের মারা যাবে না। তাই ইঁদুর তাড়ানোর উপায় খুঁজতে হচ্ছে।

Advertisement

ইঁদুর তাড়াতে যে সমস্ত রাসায়নিক স্প্রে করা হয়, তার গন্ধ হাসপাতালের রোগীদের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। বিশেষ করে শ্বাষকষ্ট, হৃদরোগের রোগীদের পক্ষে, সদ্যোজাত শিশুদের পক্ষে তা খুবই বিপজ্জনক। সেই কারণেই ‘পেস্ট কন্ট্রোল’-এর কাজে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছেন জৈব পদ্ধতিতে তৈরি ‘ফক্স ইউরিন’-এর গন্ধ যুক্ত এক ধরনের ক্যাপসুল বা দানা রয়েছে। তা ছড়িয়ে দিলে গন্ধে ইঁদুর আসবে না।

বাস্তবে তা কতটা কাজের হবে তা নিয়ে অবশ্য চিন্তা যায়নি কর্তৃপক্ষের। ঠিক হয়েছে, জরুরি বিভাগ, ওটি স্টোর, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, বিভিন্ন ল্যাবরেটরি, মেডিসিন স্টোর, রেডিওলজির মতো বিভাগগুলোতে প্রথমে ওই ক্যাপসুল ছড়ানো হবে। ইঁদুরের উপদ্রবে ওই সমস্ত বিভাগে নানা সমস্যা হচ্ছে। কখনও ময়নাতদন্তের জন্য রাখা মৃতদেহ খুবলে খাচ্ছে। কখনও সিটি যন্ত্রাংশের তার কেটে দেওয়ায় পরিষেবা বন্ধ হয়ে পড়ছে।

Advertisement

ওই কাজের তদারকির করছেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অরূণাভ সরকার। তিনি বলেন, ‘‘আসলে শেয়াল ইঁদুর খায়। সেই কারণে শেয়ালের মূত্রের গন্ধ পেলেই ইঁদুর সেখানে থাকতে চাইবে না। ওই ক্যাপসুল বা দানা থেকে ফক্স ইউরিনের গন্ধ ছড়াবে। শেয়ালের মূত্রের সঙ্গে বিভিন্ন ধনের গাছের তেল মিশিয়ে উচ্চ উষ্ণতায় সেটি তৈরি করা হয় বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। হাসপাতালের রোগীদের পক্ষে তা ক্ষতিকারক নয়।’’

পেস্ট কন্ট্রোলের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার তরফে নবজ্যোতি চৌধুরী জানান, শেয়ালের মূত্র ছাড়াও পাইন গাছের রসের সঙ্গে আরও কিছু গাছের নির্যাস মিশিয়ে এক ধরনের পাউডার হয়।

তার গন্ধও ইঁদুর তাড়ায়। গো মূত্রের সঙ্গে তুলসি, নিমের মতো পাতার রস মিশিয়ে যে পদার্থ তৈরি হয়, তার গন্ধেও ইঁদুর পালায়।

ক্যাম্পাসে বাদুড়ের উপদ্রবও প্রচুর। তাই নিয়েও চিন্তায় আছেন কর্তৃপক্ষ। বাদুড়ের উপদ্রব বন্ধ করতে ওই সংস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে, ইউক্যালিপটাস তেলের সঙ্গে ন্যাপথলিন মিশিয়ে রাখলে তার গন্ধে বাদুড় চলে যায়। তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অনেক সময় আলট্রা ভায়োলেট সাউন্ড চালিয়ে বাদুড় তাড়ানো হয়। যেখানে বাদুড় দল বেঁধে বসছে সেই গাছ বা জায়গাটি নেট দিয়ে ঘিরে দেওয়া যেতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন