বন দফতর সহ একাধিক সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নাম করে বাজার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটি চক্র গড়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই ওই চক্র শুধু দিনহাটা থেকে ৫০ লক্ষ টাকার বেশি তুলে নিয়েছে বলে পুলিশের হাতে তথ্য এসেছে। ওই চক্রের সঙ্গে যুক্ত এক সদস্য রবীন মুর্মুকে দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরে পুলিশ ওই তথ্য পেয়েছে। গোটা রাজ্য জুড়ে ওই চক্র জাল ছড়িয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ধৃতের কাছ থেকে বন দফতর, রেল ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নাম করে বেশ কিছু জাল নিয়োগপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। একটি জাল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ওই চক্র জাল বিস্তার করছে বলে মনে করছে পুলিশ। এমন একটি ওয়েবসাইটের হদিশও পেয়েছে পুলিশ। যদিও ওই বিষয়টি খতিয়ে না দেখে এখনই পুলিশ কিছু বলতে চাইছে না। পুলিশের সন্দেহ, ওই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভুল তথ্য পরিবেশন করে বেকার তরুণ-তরুণীদের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। দিনহাটার এসডিপিও কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নানা তথ্য হাতে এসেছে। তাতে বহু লক্ষ টাকা ওঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাচ্ছি। বেশ কিছু নামও আমাদের হাতে এসেছে। তদন্ত চলছে।”
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, একটি অভিযোগে রবি মুর্মু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়ির পুলিশ। সেখান থেকে তাঁকে দিনহাটায় নিয়ে গিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। ওই যুবকের বাড়ি মালদার গাজলে। সেখানেও যায় পুলিশ। সেখান থেকে বিভিন্ন দফতরের বেশ কিছু জাল নিয়োগপত্র উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, জলপাইগুড়ি, মালদহ দমদম ও কলকাতায় ধৃতের সঙ্গীরা রয়েছে। তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।