রাষ্ট্রপতি থেকে পর্যটক, মাদারিহাটের কমলাভোগে মাত

আসল কমলালেবুর খোসা ব্যবহার করেই মাদারিহাটে তৈরি হয় এই মিষ্টি। মাদারিহাটের কমলাভোগের ভারত জোড়া নাম। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডুয়ার্স ও জলদাপাড়া জঙ্গলে বেড়াতে এসে পর্যটকরা চেখে যান মাদারিহাটের কমলাভোগ।

Advertisement

রাজকুমার মোদক

মাদারিহাট শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:২৫
Share:

সুস্বাদু: মাদারিহাটের বিখ্যাত কমলাভোগ। নিজস্ব চিত্র

কৃত্রিম সুগন্ধী নয়, আসল কমলালেবুর গন্ধের কমলাভোগ মিষ্টির স্বাদ পেতে হলে আসতেই হবে ডুয়ার্সের মাদারিহাটে।

Advertisement

আসল কমলালেবুর খোসা ব্যবহার করেই মাদারিহাটে তৈরি হয় এই মিষ্টি। মাদারিহাটের কমলাভোগের ভারত জোড়া নাম। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডুয়ার্স ও জলদাপাড়া জঙ্গলে বেড়াতে এসে পর্যটকরা চেখে যান মাদারিহাটের কমলাভোগ।

মাদারিহাটের বাস স্ট্যান্ডে ননী পালের দোকান। রাষ্ট্রপতি থাকার সময় জলদাপাড়ায় এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও তাঁর মেয়ে শর্মিষ্ঠা। তারাও ননী পালের কমলাভোগ খেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন বলে জানালেন দোকানের বর্তমান মালিক নীতীশ পাল। তিনি বলেন, “শুধু রাষ্ট্রপতিই নন, জলদাপাড়া বা হলং লজে যে কোনও ভিআইপিই আসুন না কেন, আমাদের কমলাভোগ না খেয়ে যান না।’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একবার এই কমলাভোগ খাওয়ানোর ইচ্ছে নীতীশবাবুর। তিনি জানান, সারা বছর যেহেতু কমলালেবু পাওয়া যাওয়া না, তাই কমলালেবুর খোসা সংরক্ষণ করে রাখেন তাঁরা। খোসাগুলি শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিয়ে ছানার সঙ্গে মিশিয়ে মিষ্টি করা হয়। ”

Advertisement

৮০ বছরের পুরনো দোকান হলেও তাঁরা কমলাভোগ তৈরি করছেন গত ৫০ বছর ধরে। নীতীশবাবু জানান, “যখন শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় আমাদের দোকানের কমলাভোগ খেয়েছিলেন, তখন উনি বলেছিলেন এই মিষ্টির পেটেন্ট পেতে পারেন আপনি। দিল্লিতে গিয়ে ওনার সঙ্গে যোগাযোগ করলে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সময়ের অভাবে আজও যেতে পারিনি।” মাদারিহাটের মিলন পাঠাগারের গ্রন্থাগারিক ভাস্কর গুহ মজুমদার বলেন, “ননী পালের মিষ্টির দোকানের কমলাভোগ ভারত বিখ্যাত। এত স্বাদ গন্ধের কমলাভোগ ভারতে আর কোথাও পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না।”

সম্প্রতি জলদাপাড়ার হলং বাংলোয় আসেন ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কমলাভোগ খেয়ে প্রশংসা করেন তিনিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন