৩ মাসে গ্রেফতার ১০ কারবারি

জাল নোট, দুষ্কর্ম রোধে বিশেষ দল

জাল নোটের কারবার রুখতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মালদহের বৈষ্ণবনগরের ১৮ মাইল থেকে ৯৬ হাজার টাকার জাল নোট সহ নদিয়ার সারিফুল শেখকে গ্রেফতার করেছিল বিএসএফ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদতা

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৭ ০২:০১
Share:

ধৃত: বুলু শেখ। নিজস্ব চিত্র

জাল নোটের কারবার রুখতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মালদহের বৈষ্ণবনগরের ১৮ মাইল থেকে ৯৬ হাজার টাকার জাল নোট সহ নদিয়ার সারিফুল শেখকে গ্রেফতার করেছিল বিএসএফ। সেই সারিফুলকে হেফাজতে নিয়েই জাল নোট চক্রের হদিস পেয়েছে পুলিশ। তাঁকে জেরা করেই শনিবার রাতে কুম্ভীরা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহনপুর থেকে বুলু শেখ নামে চক্রের এক কারবারীকে গ্রেফতার করে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছ থেকে আরও কয়েকজনের নাম মিলেছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। বুলুকে রবিবার মালদহ সিজিএম আদালতে তুলে ৯ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

গত বুধ ও বৃহস্পতিবার মালদহ জেলা পরিদর্শনে এসে জালনোটের কারবার রুখতে তৎপরতা বাড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গের এডিজি নটরাজন রমেশবাবু। তিনি সদর দফতরে ফিরতে না ফিরতেই জালনোটের কারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে প্রায় ৪০ জন পুলিশের একটি স্পেশাল টিমকে বৈষ্ণবনগর থানায় ও ৬০ জনের একটি দলকে কালিয়াচক থানায় পাঠানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলা থেকে মূলত সশস্ত্র পুলিশকর্মীদের পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাতেই দুটি দল পৌঁছেছে। সাত দিন ধরে তাঁদের ওই দুই থানা এলাকায় অভিযান চালানোর কথা।

Advertisement

যদিও এডিজি বলেন, জাল নোটের কারবার বন্ধের বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি বিভিন্ন দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও তারা অভিযান চালাবে।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বৈষ্ণবনগরের ১৮ মাইল থেকে বিএসএফের ২৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দারা নদিয়ার বাসিন্দা সারিফুল শেখকে ৯৬ হাজার টাকার দু’হাজারি জাল নোট সহ গ্রেফতার করেছিল। পরে তাকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে নেয় বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় সারিফুল পুলিশকে জানিয়েছে যে, মোহনপুরের বুলু শেখ ও আরও একজনের কাছ থেকে সে জালনোটগুলি নিয়েছিল। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকেই বুলুকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য জনের হদিস মেলেনি। এদিকে, বুলুও ওই কারবারে জড়িত আরও একজনের নাম জানিয়েছে। এ বার তাকে হেফাজতে নিয়ে ওই কারবারে সত্যিই আরও কারা জড়িত তাঁদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করা হবে। প্রয়োজনে সারিফুল ও বুলুকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করাও হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement