Gangarampur

ভাতা পেতে ফোন ‘দিদিকে বলো’য়

তড়িঘড়ি ভাতা দিতে উদ্যোগী তৃণমূল পরিচালিত গঙ্গারামপুর পুরসভা।

Advertisement

নীহার বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৬:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

সরকারি ভাতার জন্য পুরসভার দরজায় দরজায় ঘুরলেও কোনও কাজ হয়নি বলে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ উঠত। অভিযোগ, বিপিএল কার্ড না থাকায় ভাতা-তালিকা থেকে কারও কারও নাম বাদ দেওয়া হতো। তার জেরে গঙ্গারামপুরে বিধবা বা বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার আশা ছেড়েছিলেন অনেকে।

Advertisement

এমন পরিস্থিতিতে ‘দিদিকে বলো’র ফোন নম্বরে আশায় ফিরছিলেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে শুরু করেছিলেন সকলে। তার জেরে তড়িঘড়ি ভাতা দিতে উদ্যোগী তৃণমূল পরিচালিত গঙ্গারামপুর পুরসভা।

পুরসভার কাউন্সিলর তথা গঙ্গারামপুরের তৃণমূল নেতা অশোক বর্ধণ বলেন, ‘‘সবাই দিদিকে বলো নম্বরে ভাতার কথা জানিয়েছেন। তাঁদের সমস্যা মেটাতে হাজারের বেশি বাসিন্দাকে ভাতা দেওয়া শুরু করা হয়েছে।’’ প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পুরসভার তরফে বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা দেওয়া হয়। প্রতি মাসে ৭৫০ টাকা করে বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হয়। বয়স ৮০ ছুঁলেই তা বেড়ে হয় মাসে এক হাজার টাকা। ৪০ বছর পেরলেই বিধবা ভাতা পেতে পারেন কোনও আবেদনকারী। গঙ্গারামপুর পুরসভা সূত্রে খবর, এত দিন ওই দুই খাতে ৩০০ জনকে ভাতা দেওয়া হত। কিন্তু অনেকেই তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন।

Advertisement

এর কারণ হিসেবে অশোক দাবি করেছেন, বিপিএল তালিকা তৈরির সময় অনেক কারচুপি হয়েছে। অনেকের নাম প্রভাব খাটিয়ে বাদ দেওয়া হয়েছে। তার জেরেই ওই সমস্যা হয়।

তৃণমূল সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে দলীয় নেতারা ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার শুরু করেন। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে অভিযোগ জানাতে বাসিন্দাদের দেন ফোন নম্বর। সেই ফোন নম্বর পেয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি অভিযোগ জানানোর সুযোগ পান বাসিন্দারা।

তৃণমূল সূত্রে খবর, গঙ্গারামপুরের অনেত বাসিন্দাই ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে ফোন করে এই ভাতা না পাওয়া নিয়ে অভিযোগ করেছেন। ভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক বলে দাবি জানিয়ে কয়েক হাজার ফোন গিয়েছে।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, তার পরেই পুরসভার কাউন্সিলরদের দ্রুত ভাতার ব্যবস্থা করে বাসিন্দাদের সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরেই নড়েচড়ে বসেন পুর-কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ১০০ বাসিন্দাকে ভাতা দেওয়া শুরু করা হয়েছে। যাঁদের বিপিএল তালিকায় নাম নেই অথচ বার্ষিক আয় দেড় লক্ষ টাকার নিচে, তাঁদের মধ্যে থাকা কোনও আবেদনকারীকে দ্রুত ভাতা দিতে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement