এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। প্রথমবার এক যুবক ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। দ্বিতীয় দিন দু’জন তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার রাতে দার্জিলিং সদর থানার পুলিশ লেবং এলাকা থেকে অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। আরও একজন পলাতক।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম দ্বীপেন রাওয়াত, বিজেন্দ্র খাওয়াস এবং সুশান্ত প্রধান। এদের বাড়ির লেবং, কোঠিগাঁও এবং হরসিং এলাকায়। সকলেই পেশায় গাড়ির চালক। সকলেই লেবং-দার্জিলিঙের মধ্যে গাড়ি চালানোর কাজ করেন।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকার বাড়ি লেবং এলাকায়। দার্জিলিঙের একটি স্কুলে পড়াশোনার জন্য সে প্রতিদিনই সদরে যাতায়াত করে। সেই সূত্রে চালক অমিত তামাঙ্গের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। গত ২৫ জুলাই স্কুল থেকে গাড়িতে বাড়ি ফেরার সময় অজয় নাবালিকাকে ভুল বুঝিয়ে আপার হরসিংহ এলাকার একটি ফাঁকা গ্যারাজে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তারপরে অজয় নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। বাড়িতে কিছু না জানালেও গত ১ অগস্ট ফের নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে আরও দুই গাড়ির চালক, বিজেন্দ্র এবং দ্বীপেন। সুশান্ত ধর্ষণ না করলেও সেখানে ছিলেন। তার পরে নাবালিকাকে লেবং এলাকায় এনে ছেড়ে দেওয়া হয়। অসুস্থ হয়ে পড়ায় ছাত্রী পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানান। তার পরে চার জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়।
দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার অভিযোগ দায়ের হতেই তিন জনকে ধরা হয়েছে। বাকি এক জনের কোঁজ করা হচ্ছে। ছাত্রীর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে।’’
বুধবার ধৃতদের আদালতে পেশ করার পরে বিচারক তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ১৯ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। এদিকে, গাড়ির চালকদের লেবং সিন্ডিকেট ঘটনার তীব্র নিন্দা করে নাবালিকার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, দোষীদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। চালকদের সুনাম যারা খারাপ করেছে, কোনও ভাবেই তাঁদের ছাড়া যাবে না। সিন্ডিকেটের সদস্যরা এদিন গাড়ি চলাচল বন্ধও রাখেন।