বরাদ্দ: নতুন জেনারেটর এল ভূতনি হাসপাতালে। —নিজস্ব চিত্র।
গঙ্গা, ফুলহার ও কোশী, এই তিন নদী দিয়ে ঘেরা ভূতনির চর। সেই চরেই চালু হয়েছে ১০ শয্যার হাসপাতাল। একেবারে ঝাঁ চকচকে। ইন্ডোরে কোথাও এতটুকু জঞ্জালের দেখা মিলবে না। শয্যা চালুর আগে সেই ভূতনিতে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার ছিল মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ, যা এখন হয়েছে ৯০ শতাংশ। হাসপাতাল চালুর পর সাত মাসে ৬৪৫টি প্রসবও হয়েছে। এ সব কর্মকাণ্ড দেখে তারিফ করে গিয়েছে ইউনিসেফও।
সেই হাসপাতালেই কোনও জেনারেটর ছিল না। মাসখানেক আগে টানা দুদিন ভূতনি বিদ্যুৎহীন থাকায় ডাক্তাররা মোমবাতি জ্বালিয়েই দুই গর্ভবতীর প্রসব করিয়েছেন। সেই খবর প্রকাশিত হয়েছিল আনন্দবাজার পত্রিকায়। বুধবার ১০ কেভির একটি জেনারেটর পৌঁছে গেল সেই ভূতনি হাসপাতালেই। আজ, বৃহস্পতিবার তা চালুও হয়ে যাবে। জেনারেটর পৌঁছনোয় খুশি হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স-সহ স্থানীয় বাসিন্দারাও।
ভূতনিতে রাস্তার যেমন সমস্যা, তেমনি লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজও একটি বড় সমস্যা। স্থানীয় বাসিন্দারাই বলেন, সেখানে তিন-চার ঘন্টা পরপরই লোডশেডিং হচ্ছে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই লো-ভোল্টেজের সমস্যা। ভূতনি হাসপাতালে একটি ইনভার্টার থাকলেও তা দিয়ে সমস্ত হাসপাতাল চত্বর আলোকিত করে রাখা যায়না। বিশেষ করে প্রসবের সময় সেই আলোয় কাজ করা মুশকিল হয়। গত ১৮ ও ১৯ জুন টানা দুদিন ভূতনিতে বিদ্যুৎ ছিল না। তখন মোমবাতি জ্বালিয়েই ডাক্তাররা দুজনের প্রসব করান। হাসপাতালে একটি জেনারেটরের দাবি ছিল শুরুতেই।
অবশেষে এ দিন হাসপাতালে জেনারেটর পৌঁছল। ডাক্তার রাজেশ সাহা বলেন, ‘‘অনেকদিন ধরেই আমরা জেনারেটরের দাবি করে আসছিলাম। অবশেষে মিলল। লোডশেডিং এখনও লেগে আছে। সমস্যা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে জেনারেটর চালু হয়ে যাবে বলে শুনেছি।’’ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দিলীপকুমার মণ্ডলও খবর পেয়েছেন। জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘বেশ কিছুদিন আগেই জেনারেটরের টেন্ডার হয়ে গিয়েছিল। কিছু সমস্যায় তা পাঠানো যায়নি। প্রায় ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ১০ কেভির জেনারেটর জেলা পরিষদের তরফে সেখানে বসানো হচ্ছে।’’