প্রতীকী ছবি।
প্রায় ৬০০ সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে শিলিগুড়ি শহরে আসছেন ভূতের রাজা। পুজোর কয়েকদিন তিনি থাকবেন রথখোলা স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে। রাজার থাকার বন্দোবস্ত করতে এখন তাই জোর কদমে চলছে প্রাসাদ তৈরির কাজ।
ভূতের রাজা বলে কথা তাই ইট, বালি, বজরি নয় ভূত প্রাসাদ তৈরি হচ্ছে ঝিনুক, নারকেল, সাইকেলের রিং, সিলিং ফ্যান, বেসিনের পাইপ দিয়ে। রাজার মন ভাল রাখতে তাঁর বিনোদনের জন্য প্রাসাদের ভিতরে বিশেষ গান, বাজনার আসরের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে ভূতের রাজার দেশে প্রবেশে থাকছে না কোন বাধা। ৫৩তম বর্ষের দুর্গা পুজোতে রথখোলা স্পোর্টিং ক্লাব ভূতের দেশ বানিয়ে চমক দিতে চাইছে। পুজো কমিটির সম্পাদক দুলাল রায় বলেন, ‘‘আমরা বরাবরই চেষ্টা করি দর্শকদের একটু আলাদা স্বাদ দিতে। তাই মূলত যেসব দ্রব্য দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হয় তার বাইরে গিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি আমরা।’’
শিলিগুড়ি সঙ্ঘশ্রী ক্লাবের পুজোয় এবারের থিম উষ্ণায়ন। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, দূষণের ফলে কী ভাবে পরিবেশের উষ্ণতা বাড়ছে এবং তারফলে কী কী প্রভাব পরছে সেটাই মণ্ডপে তুলে ধরা হবে। সঙ্ঘশ্রীর পুজো এবছর ৫২ বছরে পা দিল। পুজো কমিটির সম্পাদক সুরজিৎ কর বলেন, ‘‘শিলিগুড়ির দূষণ গোটা দেশে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাড়িয়েছে। তাই আমরা মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যেই উষ্ণায়নকে থিম করেছি। আমাদের প্যান্ডেল পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব হবে। বাঁশ, কাঠ, উল, সুতো, কাগজ দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে।’’
রথখোলা ক্লাবের কর্তারা জানিয়েছেন, তাঁদের প্রতিমা হবে সাবেকি ঘরানার। প্রতিমা তৈরি করছেন কলকাতার শিল্পি মন্টু পাল। ক্লাব প্রাঙ্গণেই তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। আর থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হচ্ছে সঙ্ঘশ্রী ক্লাবের প্রতিমা। তৈরি করছেন স্থানীয় শিল্পিরা। পুজোর দিনগুলিতে একাধিক সচেতনতামূলক প্রচার কর্মসূচি নিয়েছে দুই ক্লাবই। প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ও থার্মোকলের ব্যবহার বন্ধ করা, ডেঙ্গু প্রতিরোধে করনীয় পদক্ষেপ, অঙ্গদান ও রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা প্রভৃতি বিষয়ে প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছেন সুরজিৎ ও দুলাল।