ফাইল চিত্র।
পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলল মালদহের গনি খান চৌধুরী নামাঙ্কিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (জিকেসিআইইটি)-এর আন্দোলনকারীরা পড়ুয়ারা। এবং সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বার জেলাশাসকের দফতরের সামনেও ধর্নায় বসতে পারে তাঁরা।
পড়ুয়ারা মঙ্গলবার দাবি করেন, তাঁরা কিছু দিন ধরে কলেজের এ ব্লকে আন্দোলন চালানোর পাশাপাশি ওই ব্লকেরই সেমিনার রুমে সভা করতেন। এ দিন গান্ধী জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কলেজ ছুটি থাকায় সেই সেমিনার রুমেই তাঁরা ছিলেন। কিন্তু এ দিন কলেজের নিরাপত্তা রক্ষীরা তাঁদের সেখান থেকে বাইরে বের করে দেন বলে অভিযোগ। তাঁরা এখন এ ব্লকের গেটের বাইরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। নিরাপত্তা রক্ষীরা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জিকেসিআইইটিতে সিভিল ও কম্পিউটার সায়েন্স কোর্সের অনুমোদনহী না থাকার মতো একাধিক ইস্যুতে কলেজের পড়ুয়ারা মালদহ ও কলকাতায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কলেজে আন্দোলন গড়িয়েছে দু’মাসের বেশি ও কলকাতায় অ্যাকাডেমি দেড় মাসেরও বেশি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে গেজেট নোটিফেকেশন করে বেশ কিছু সমস্যা মেটানোর আশ্বাসও দেওয়া হয়। কিন্তু পড়ুয়াদের অভিযোগ, সেই গেজেট নোটিফিকেশনের কিছু তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। সোমবার এ বিষয়ে ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করতে গেলে পড়ুয়াদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল বচসা হয়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ চত্বর।
আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের পক্ষে সাহিন জাহেদি, সুমন রায়চৌধুরী, নাসিম নাওয়াজরা অভিযোগ করেন, কলেজে ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশ এখন অতি সক্রিয়। এর আগে এক দিন পড়ুয়াদের হেনস্তা করা হয়েছিল পুলিশের তরফে। সোমবার রীতিমতো শাসানি দেওয়া হয়। তাঁরা জানান, করা হয় ধাক্কাধাক্কিও। তাঁদের আরও অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজসে পুলিশ এখন আন্দোলন তুলে দিতে চাইছে। শিক্ষাঙ্গনে পুলিশের এই দাদাগিরি বন্ধ করতে হবে। এ জন্য মালদহ জেলাশাসকের দফতরের সামনে ধর্নায় বসার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে জানালেন তাঁরা।
পাশাপাশি তাঁদের দাবি, কলেজের একাংশ নিরাপত্তারক্ষীও পড়ুয়াদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করছেন।
পুলিশের অবশ্য দাবি, পড়ুয়ারা মহিলা পুলিশদের সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করে, গালিগালাজ করে। জোর করে প্রশাসনিক ভবনে একাধিক পড়ুয়া ঢোকার চেষ্টা করেছিল বলে জানান তাঁরা। তখন তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বেশি কিছুই হয়নি। ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
নিরাপত্তারক্ষীরাও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কলেজের সহকারী রেজিস্ট্রার আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, কলেজে শান্তি বজায় রাখতেই পুলিশ আসছে। পড়ুয়াদের অভিযোগ ঠিক নয়।