গুরুং-দফতরে পতাকা লাগাল জিএনএলএফ

তবে সিল করা পার্টি অফিসে ওভাবে ঢুকে পতাকা লাগানো যায় কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ওই ঘটনায় নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে।

Advertisement

শুভঙ্কর চক্রবর্তী 

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৯ ০৫:৩৬
Share:

পতাকা লাগাচ্ছেন নীরজ।

বিমল গুরুংয়ের আমলে মোর্চার পতাকা দিয়ে মুখ মুছে বিতর্কে পড়েছিলেন তৎকালীন জিএনএলএফ নেতা নীরজ জিম্বা। দার্জিলিং বিধানসভা উপনির্বাচনে সেই নীরজই গুরুং ও বিজেপি সমর্থিত প্রার্থী হওয়ার পরে স্যোশাল মিডিয়ায় এখন সেই মুখ মোছার কাহিনি নিয়েই চর্চা চলেছে। এই প্রচারের মধ্যেই নীরজ বুধবার সিংমারিতে সিল করে দেওয়া মোর্চার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বারান্দায় মোর্চার পতাকা ঝুলিয়ে দিলেন। বললেন, ‘‘বিমল গুরুং পাহাড়ের নেতা। তাঁকে আমরা পাহাড়ে ফিরিয়ে আনব।’’

Advertisement

২০১৭ সালে গণ্ডগোলের পর মোর্চার সিংমারির অফিস সিল করে দিয়েছিল পুলিশ। বিমলপন্থী মোর্চার নেতারাও এত দিন সেখানে ঢোকার চেষ্টা করেননি। বিনয় তামাং শিবিরও নতুন কার্যালয় করেছে। অফিস থেকে খুলে দেওয়া হয়েছিল মোর্চার সমস্ত পতাকা, ব্যানার। দু’বছর পর সেই কার্যালয়ের বারান্দায় নতুন করে পতাকা ওড়ালেন নীরজ জিম্বা। বুধবার ওই এলাকায় ভোট প্রচারের জন্য পদযাত্রা করেন নীরজ। হঠাৎ করেই কিছু কর্মী, সমর্থককে নিয়ে তিনি সটান উঠে যান মোর্চার সিল অফিসের দোতলার বারান্দায়। তার পর নিজেই ঝুলিয়ে দেন মোর্চার পতাকা। নীচে তখন লাগাতার স্লোগান, ‘বিমল গুরুং জিন্দাবাদ’। বারান্দায় দাঁড়িয়েই বিমলকে পাহাড়ে ফেরানোর অঙ্গীকার করেন নীরজ। পতাকায় মুখ মোছা প্রসঙ্গে তাঁর উত্তর, ‘‘ওই সব পুরনো ঘটনাকে সামনে এনে অযথা বিতর্ক তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। পতাকার সন্মান ফিরিয়ে দিতেই পতাকা লাগিয়েছি।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

Advertisement

তবে সিল করা পার্টি অফিসে ওভাবে ঢুকে পতাকা লাগানো যায় কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ওই ঘটনায় নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। পতাকা লাগাতে গিয়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি জোট সমর্থকদের বিরুদ্ধে। দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘‘সিভিককে মারধরের ঘটনায় আমরা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে একটি ফৌজদারি মামলা করেছি।’’ নীরজ বলেন, ‘‘পুলিশ ব্যবস্থা নিলে আমিও আইনের পথেই লড়াই করব।’’ বিনয়পন্থী মোর্চার দার্জিলিং মহকুমা সভাপতি অলোককান্ত মণি থুলুং বলেন, ‘‘বুধবার পতাকা লাগিয়েছে, আর বৃহস্পতিবার থেকেই পাহাড়ে অশান্তি শুরু হয়েছে।’’

বিমলপন্থী মোর্চার কার্যকরি সভাপতি লোপসাং লামা বলেন, ‘‘স্বীকৃত দলের পতাকা লাগানো হয়েছে। কোনও জঙ্গি সংগঠনের নয়। ভয় পেয়ে বিনয় তামাং শিবিরই অশান্তি করছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement